হিরণ স্কয়ারের জমি ভোগ দখলে সিটি কর্পোরেশনের বাধা, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪, ১৮:৩৯

স্টাফ রিপোর্টার !! বরিশাল নগরীর হিরণ স্কয়ারের ৪০ শতাংশ জমি ভোগ দখলে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বরিশাল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারের চন্দ্রনাথ মুখার্জী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বাকেরগঞ্জের কলসকাঠি এলাকার মৃত সন্তোষ কুমার মুখার্জীর ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তফসিল সম্পত্তি সরকার অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। সরকার পরবর্তী সময় তফসিল সম্পত্তি ‘খ’ তালিকাভুক্ত করে মালিক বরাবরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন ক্ষমতার জোড়ে তফসিল সম্পত্তি পার্ক হিসাবে রুপান্তর করে নিজের সুনাম অর্জনের জন্য হিরন পার্ক নাম দেয় এবং সিটি কর্পোরেশনকে দেখভাল করার নির্দেশ দেয়।

সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তফসিল সম্পত্তি নয়, তা জেনেও শুধুমাত্র চাকরী হারানোর ভয়ে তফসিল বিতর্কীত হিরন পার্ক দেখভাল করে। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে তারা দুর্বল বিধায় উক্ত সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং নিপিড়িত হয়ে আসছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় তারা ছাত্র জনতা নিয়ে হিরন নামক পার্ককে লোহার গেইট স্থাপন করে লিখিত সাইন বোর্ড লাগিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। ওই তফসিল সম্পত্তিতে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করতে গেলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীনণ বাধা প্রধান করে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৪ টায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের মালিকানাধীণ তফসিল সম্পত্তিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে সাইন বোর্ড এবং ৮৬৭ ফুট লোহার গেইট চুরি করে নিয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

এ সময় ওই জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকী প্রদান করে। এ ঘটনার বিষয়ে থানায় ডায়রী করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ ডায়রী নেয়নি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন কার্যকলাপের তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে তারা স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবরে লিখিতভাবে জানালে স্বরাষ্ট্র সচিব মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করিয়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়। এরপর মানবাধিকার কমিশন বরিশালের জেলা প্রশাসককে বিষয়টি তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেন। তাই জেলা প্রশাসককে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অনুরোধ
জানান।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।