মেহেন্দীগঞ্জে প্রধান শিক্ষক যোগদানের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝাড়ু মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার !! বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের ৪নং আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক যোগদানের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গতকাল বিদ্যালয়ের সামনে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করে তারা। জানা যায়, আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে মোঃ মোশারফ হোসেন মাষ্টার যোগদান করতে আসলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখতে পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেনের নানাবিধ সমস্যা রয়েছে।
তারা জানায়, সে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে, পাশাপাশি তার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার সহকর্মী শিক্ষকরাও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে পাতারহাট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন নানা ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের বদলি সহ নানা ধরণের হয়রানির স্বীকার করতেন সাধারণ শিক্ষকদের।
অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে সে বরিশাল শহরে বাড়ি করেছেন বলেও জানা যায়। মডেল স্কুলে থাকাকালীন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে যৈন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এরপর এলাকাবাসী বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে তাকে সেখান থেকে বদলি করে দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও তার চরিত্র কোনরূপ পরিবর্তন হয়নি।
পূর্বের ন্যায় সে তার অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। দাঁতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে কখনোই স্কুলে আসতেন না, মাসে একবার-দুইবার স্কুলে গিয়ে পুরো মাসের অ্যাটেনডেন্সে সাইন করতেন। তার প্রভাবে উপজেলা প্রশাসন নিরব ছিলো। যে কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে পুনরায় নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই স্কুল থেকে বদলি করে আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার এই যোগদানকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না তারা। কেননা তার বিরুদ্ধে পূর্বে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের তার কাছে নিরাপদ মনে করছেন না। কেননা তারা তার চরিত্র সম্পর্কে দীর্ঘদিন যাবত অবগত আছেন।
তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ, এলাকা ও স্কুলের উন্নতির কথা মাথায় রেখে তাদের সকলের একটাই দাবি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এই স্কুলে যোগদান করতে না পারেন। তাই মোশারফ মাস্টারের যোগদানকে প্রতিহত করতে স্কুলের মাঠে ঝাড়ু জুতা মিছিল করেন। এ ব্যাপারে মোশারফ মাস্টারকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।