কৃষকদের মাঝে নিম্নমানের আলু বীজ বিতরণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার !! বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কৃষি অফিস থেকে বীজ আলুর পরিবর্তে নিম্নমানের খাবার আলু দেওয়ায় রোপন করতে পারছেন না চাষীরা। জমি প্রস্তুত করলেও বীজের অভাবে এখন বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষকদের মাঝে আলু প্রদর্শনীর জন্য রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের চাষী আমল হালদার, পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের চাষী দশরত হালদার, একই গ্রামের মকবুল হোসেন জমাদ্দার, বাকাল ইউনিয়নের বড়মগরা গ্রামের চাষী তরনী শিকারী ও বাকাল গ্রামের যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীসহ ৫ জন আলু চাষীকে নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
আলু চাষের জন্য প্রত্যেক চাষীকে ইউরিয়া ২৫ কেজি, পটাশ ৩০ কেজি, জৈবসার ১৪ কেজি, ডিএফপি ২০ কেজি, দস্তা ১ কেজি, জিং ১ কেজি ও দুইশত কেজি আলুর বীজ দেয়া হয়।
চলতি মৌসুমে আলু চাষীরা রোপনের জন্য জমি চাষ ও সার দিয়ে প্রস্তুত করেন। চাষীরা আলুর বীজের বস্তা খুলে কাটা, পঁচা ও নিম্নমানের খাবার আলু দেখতে পায়। বীজ আলুর পরিবর্তে নিম্নমানের খাবার আলু বিতরণ করায় চাষীরা আলু প্রদর্শনীর জমিতে আলু রোপন করতে পারছে না। চাষীরা টাকা খরচ করে জমি প্রস্তুত করলেও কৃষি অফিসের দেয়া নিম্নমাণের আলুর বীজ রোপন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।
কৃষক তরনী শিকারী বলেন, ‘গত ২৫-৩০ বছর ধরে আলু চাষ করে আসছি। পূর্বে বাজার থেকে ক্রয় করা ও সরকারিভাবে পাওয়া আলুর বীজের বস্তায় কোম্পানীর নাম, আলুর জাত, মেয়াদ ও বস্তার মুখে মেশিনের সেলাইসহ টোকেন লাগানো থাকতো। এবারের আলুর বস্তায় এসব কিছুই নেই। মনে হয় বাজার থেকে খাবার আলু ক্রয় করে দিয়েছে কৃষি অফিস।
অপর কৃষক মকবুল হোসেন জমাদ্দার ও দশরত হালদার বলেন, ‘কৃষি অফিসের প্রদর্শনীর জন্য দেওয়া আলুতে কোন অংকুর নেই। তারা মনে হয় বীজ আলু না দিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করে নিম্নমানের খাবার আলু বিতরণ করেছে। এই আলু রোপন করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আলু চাষের জন্য আমরা জমি প্রস্তুত করে ফেলেছি। আলু রোপনের জন্য প্রস্তুত করা জমিতে অন্য কোন ফসল চাষ করা সম্ভব নয়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পিযুষ রায় বলেন, ‘বিএডিসির আলুর বীজ না পাওয়ায় জয়পুরহাট জেলা থেকে আলুর বীজ ক্রয় করে প্রদর্শনীর চাষীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। চাষীরা যদি এই আলু রোপনে অনিহা প্রকাশ করে থাকলে চাষীদের আলু পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ওই আলু বীজ দেখে চাষীদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’