দলীয় নেতার হাত ভেঙে দিলেন ছাত্রদল নেতা

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ওপর হামলা চালিয়েছেন ছাত্রদল নেতা। এ হামলায় হাত ভেঙেছে ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। আহত সোহেল পাইক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। আর অভিযুক্ত মঈন পাইক আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ছাত্রদলের সদস্য সচিব পদে আছেন।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে যবসেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠনের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে আলোচনা করেন স্থানীয়রা। এ সময় ওই মসজিদ কমিটি সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান চাঁন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম পাইকের নাম সুপারিশ করেন জাকির পাইক। এ সময় সোহেল পাইকসহ স্থানীয়রা এর বিরোধীতা করে। এর জেরে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
একপর্যায়ে মসজিদের ভেতরে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় জাকির পাইকের ছেলে মঈন পাইকের নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল জিআই পাইপ দিয়ে সোহেল পাইককে মারধর করে। এতে এ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ডান হাত ভেঙে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি জানতে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আহত সোহেল পাইক বলেন, ‘মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দে মঈন পাইক জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দিয়েছে।’ অভিযোগের বিষয়ে মঈন পাইকের বাবা জাকির পাইক মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে তর্কাতকির ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে সোহেল পাইকের উপর হামলা করেনি। সে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পরে গিয়ে হাত ভেঙে যায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আহত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’