ল্যাম্পিংস্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু, আতঙ্কে খামারিরা

বেতাগী প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগী উপজেলায় গবাদি পশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ল্যাম্পিং স্কিন ডিজিজ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেক গরু। এতে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন খামারিরা। রোগটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট-বড় গরুর খামারিরা।
স্থানীয় খামারিরা জানান, আক্রান্ত গরুর শরীরে প্রথমে ফুলা দানা দেখা যায়, পরে তা ঘা হয়ে যায়। আক্রান্ত গরুরা খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে গরুর ওজন কমে যাচ্ছে এবং বিক্রির অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
বেতাগী পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর খামারির মালিক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাস-ঘটিত ল্যাম্পিংস্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে।
পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিন বিহারী ঢালী (৮৫) বলেন, হঠাৎ করে ৬ মাস বয়সী একটি বাছুরের সারা শরীরে কালো ফোসকা পড়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা করার পর সুস্থ হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল মিয়া বলেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। মূলত মাছি ও অন্যান্য কীট-পতঙ্গের মাধ্যমে এটি এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরো বলেন, আক্রান্ত গরুকে আলাদা করে রাখতে হবে এবং যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ওষুধ সরবরাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। খামারিদের আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মিত গরুর যত্ন ও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।