কুয়াকাটায় সাংবাদিক মিরনকে কুপিয়ে জখম

ফেব্রুয়ারি ০৫ ২০২৫, ১৯:৫১

কুয়াকাটা প্রতিনিধি !! পূর্ব শক্রতার জেরে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু ওই যুবদল নেতা কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তুলাতলী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন তার নিজ বাসার সামনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে ও পরে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানেও অবস্থান অবনতি দেখে কর্তব্যরতি চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী ভোর রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ওই সাংবাদিক বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।

আহতের মা জানান, চিৎকার শুনে আমরা বাসা থেকে বের হয়ে একজনকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। তুলে দেখি আমার ছেলে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে যারা নৃশংসভাবে আঘাত করেছে তাদের বিচার চাই। এদিকে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিয়াজ জানান, জহিরুলের আঘাত গুরুতর। বাম হাতের কনুইয়ের ওপরে এবং বাম হাতের কবজিতে বেশি আঘাত পেয়েছেন। এছাড়া মাথা, দাঁড়ি ও মুখমণ্ডলে বেশ কয়েকটি কোপ রয়েছে।

সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় গাড়ি থেকে বাসার সামনে নামলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে রাত গভীর থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা কিংবা বাসার মানুষ টের পায়নি।

ওসি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ফিলিং স্টেশন এবং আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের তদন্ত চলমান আছে। ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে।