মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

নারীর সঙ্গে ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

মার্চ ১১ ২০২৫, ১৯:২১

স্টাফ রিপোর্টার : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীর সঙ্গে ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। অধিদপ্তরের সরকারি ভবনে বসেই তিনি মাদক সেবন করছেন। তার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই কর্মকর্তার নাম মো. বাবুল সরকার। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলা কাযালয়ের সহকারি পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন।

মাদকের সঙ্গে জড়িত পিরোজপুরের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাদক জব্দ করে তা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. বাবুল সরকার অনেকে সময় নিজের কাছে রেখে দেন। পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে নষ্ট করছেন মামলায় ব্যবহার করা যায় এমন আলামতও। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অপারেশনস্ ও গোয়েন্দা) অতিরিক্ত ডিআইজি তানভীর মমতাজ বলেন বাবুল সরকারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাবুল সরকারের ইয়াবা সেবনের স্থিতচিত্র অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখানো হয়েছে। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছবিটি বাবুলের বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা আরো বলেছেন, ছবির ঘটনাস্থল অধিদপ্তরের চারতলায়। যেখানে সহকারি পরিচালক বাবুল সরকার রাতযাপন করেন। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল পিরোজপুরে সহকারি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। সেই থেকে তিনি অধিকাংশ সময় চারতলায় অবস্থান করছেন। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়েত সীমিত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলা কাযালয়ের সহকারি পরিচালক মো. বাবুল সরকারের আপত্তিকর ভিডিও সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। মঙ্গলবার এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুঠোফোনে বাবুল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।

একাধিকবার তার সরকারি নম্বরে ফোন দেয়ার পর সাংবাদিকের নম্বরটি ব্লক করেন। এমনকি তার পিরোজপুরের সরকারি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কাযালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত চেষ্টার পরও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

এমনকি তার সরকারি নম্বরের পাশাপাশি ই-মেইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। এই কারনে তাদের দুজনের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে পুরো বিষয়টি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের দুই পরিচালককে জানানো হয়েছে।