প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

অবৈধভাবে ১৮ একর জমি দখলে নেয় আমু ও অপসোনিন কোম্পানি

মে ০৪ ২০২৫, ১৭:৪১

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ও জাল জালিয়াতের মাধ্যমে ভূয়া মিস কেস সাজিয়ে ১৮ একর ১৫ শতাংশ জমি আত্মসাতের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু সহ অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। রোববার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বোরহান উদ্দিন মিলন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর সাবেক খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু অপসোনিন ফার্মা লি. এর অংশীদার এবং রাকিব খান ও রউফ খানের পরস্পর মানাতো ফুফাতো ভাই। আর আমির হোসেন আমুর অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া মিস কেস ২৩০/৬৫-৬৬ নং বন্দোবস্তের মাধ্যমে তাদের ৭ পরিবারের প্রায় ১৮ একর ১৫ শতাংশ ভূমি আত্মাসাত করে।

মিলন আরও বলেন, নলছিটি এসিল্যান্ড অফিসের ১২ নং রেজি-স্টারে বইতে মিস কেস ২৩০/৬৫-৬৬ এর কোন অস্তিত্ব নাই বরং ওই রেজিস্টারে তিনটি বন্দোবস্ত কেস দায়ের রয়েছে। কিন্তু নলছিটি জেল নং ১২৭ পশ্চিম চর দপদপিয়ার জমি কি ভাবে অপসোনিন কোম্পানি লিং এর মালিক রাকিব খানের নামে ৪৩১৯/১৯ দলিল এবং ৩৮২৮/২০০০ নং দলিল বরিশাল সাব রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্টার হয়, যা ১৯৬৬ সালে আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। যত দলিল অপসোনিন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। এর মূল মালিকানা স্বত্ব ২৩০/৬৫-৬৬ মিস বন্দোবস্ত কেসটি দলিলে উল্লেখ নাই।

এই সকল দলিলে জাগুয়া ইউনিয়ন জে এল ১২৭ নং উল্লেখ করছে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে জাগুয়া ইউনিয়ন জেল নং ৫৪। সকল দলিল গুলো জাল জালিয়াতি মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে।

তাছাড়া এই রাকিব খান ও রউফ খান কীর্তনখোলা নদীর স্রোত গতি পরিবর্তন করে, নদী ভরাট ও দখল করে পরিবেশের ভারসম্য এর ব্যাঘাত ঘঠিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছে, শত শত অসহায় গরীব মানুষের জমি এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের খাস জমি অবৈধ ভাবে জবর দখল করেছে।

এ নিয়ে ঝালকাঠি আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এই মামলায় ২৩ বছর তারা কোর্টে হাজির না হয়ে, কোর্ট অবমাননা করছেন। তারা অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে আইন কানুন আদালতকে তোয়াক্কা না করায়, তাদের বিরুদ্ধে আদালত জি আর মামলা নং ৩১/২৫ এবং সি আর ১৪৭/২৫ নং মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে।

আমির হোসেন আমুর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে বহু অসহায় গরীব মানুষের ভূমি জবর দখল করে নিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসের সঠিক তদন্তে যার সত্যতা বের হয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।

অপসোনিন ফার্মার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বজলু রাঢী, মোঃ পারবেজ আহমেদ, রফিক আহম্মেদ, জসিম উদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ জালজালিয়াতির হোতা বলে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জালাল আহমেদ খান, জাহাঙ্গীর খান, সিরাজুল ইসলাম গাজী, সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুল। এদিকে বিষয়টি জানতে অপসোনিন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তা রফিক আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।