আমানতগঞ্জে মামার হামলায় গুরুতর আহত ভাগ্নী, থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল নগরীর ৬নং ওয়ার্ড সোনালী আইসক্রিম মোড় আমানতগঞ্জ,ছাদেম খানের ছেলের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত প্রবাসীর স্ত্রী।
কোতোয়ালি থানার এজাহার জানা যায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সোনালী আইসক্রিম মোড় আমানতগঞ্জ,ছাদেম খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্র মতে মামলার ২ নং আসামী নার্গিস বেগমের মা আকলিমা বেগম সাড়ে তিন শতাংশ জমি সাব কবলা ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দলিল করিলেও ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে, দীর্ঘদিন তালবাহানা করে আসছে। জমি বুঝিয়া দিতে বললে উল্টো আরো টাকা দাবি করেন, এছাড়া ক্রয়কৃত সম্পত্তি বাদ দিয়ে অন্ন কয়েকটি দাগের সম্পত্তি ভোগ দখল করতে বলেন তারা।
মামলার বাদী শেখ এম এই মশিউর জানায় ২০শে মে আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এজাহার ভুক্ত আসামিগণ মিলে আমার মায়ের ক্রয়কৃত জমির ভিতরে একটু টিনের ঘর ভেঙে দুমরে-মুছরে ফেলে।
খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে আমার মায়ের উপরে স্থানীয় মৃত খাদেম আলী খানের ছেলে ১ নং আসামী খান আলেকজান্ডার,২নং আসামী নার্গিস, ৩ নম্বর আসামী লামিয়া, ৪ নম্বর আসামী জুবায়ের এবং ৫ নম্বর আসামী কালাম হাওলাদার সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে দেশী অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় আমার মা নুসরাত জাহান হ্যাপি। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
থানায় অভিযোগকারী আরও বলেন আসামিরা আমি ঢাকাতে এবং আমার বাবা বিদেশে থাকায় মা নুসরাত জাহান হ্যাপি কে একা পেয়ে এহন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় এমনকি বিভিন্ন সময় খুনের হুমকি দিচ্ছে।
প্রতিনিয়ত আমরা আতঙ্কের মধ্যে থাকি, মা একা থাকে আত্মীয়স্বজনরা এ বিষয় নিয়ে খালিশ বৈঠক বসার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করেছে।
এবার তারা মা কে একা পেয়ে বাড়ির মধ্যে ডুকেই রড,লাঠি সোঠা দিয়ে বেদম পেটায় তাতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। আমি ঘটনার সময় ঢাকা থাকায় বরিশালে এসে এজাহার করতে একটি বিলম্ব হয়েছে।
হামলার এজাহারের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো : মিজানুর রহমান বলেন দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।