সংবাদ সম্মেলন
প্রতারণার শিকার বিউটি সুপার মার্কেটের ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীগণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জমির মালিকের পরিবারের প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল নগরীর চকবাজারে নির্মানাধীন বিউটি সুপার মার্কেটের ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীগণ। এর প্রতিকার চেয়ে রবিবার (২৫ মে) বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী ডেভেলপার পার্টনার ও বিনিয়োগকারীগণ।
নির্মানাধীণ বিউটি সুপার মার্কেটেরে ডেভেলপার পার্টনার আবুল হাসান কুদ্দুস লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিউটি সিনেমা হলের পুরাতন ভবন সহ ৪০ শতাংশ জমি তিনি সহ তিন জন পার্টনার জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী ৮ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারন করে নগদ ১ কোটি টাকা বায়না রেজিষ্ট্রি করি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। বায়না রেজিষ্ট্রি চুক্তি অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে তাদের দলিল দেয়ার কথা থাকলেও দলিল না দিয়ে জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে সৈয়দ কামরুন্নাহার আখি তার দাদা কামাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে মৌখিক হেবা দলিল দেয়। এ নিয়ে তাদের বায়না বাতিলের জন্য একটি মামলাও দায়ের করেন। ২০১৭ সালে জানুয়ারী মাসে জমির মালিক জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরী তাদের কাছে জমি বিক্রি না করে ডেভলপার পাওয়ার নিয়ে বহুতল ভবন নির্মানের প্রস্তাব দেন। তাহার প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিগত ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল জমির রেজিষ্ট্রি পাওয়ার নিয়ে বহুতল ভবন নির্মানের চুক্তি হয়।
আবুল হাসান কুদ্দুস আরো বলেন, ওই জমি বিক্রির জন্য জুলিফিকার উদ্দিন চৌধুরী ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সাথে গোপন বায়না চুক্তি করেন। তাদের সাথে বায়না চুক্তি ও ডেভলপার পাওয়ার থাকা অবস্থায় তাদের সাথে প্রতারনা করে অন্যের সাথে বায়না চুক্তি করে। পরে তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরৎ চাইলে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার শালিশ বৈঠক হয়। পরবর্তীতে তাদের বিনিয়োগকৃত ২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু পূর্বের ডেভেলপার অংশীদারদের বিনিয়োগকৃত ২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে না করে টাকার গ্যারান্টি হিসাবে ২ কোটি টাকার চেক প্রদান করেন জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরী।
আশিক চৌধুরী হেবা দানপত্র দলিলের বলে জমির মালিকানা দাবী করে তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর যোগসাজশে তাদের নির্মানাধীন ভবন অবৈধ ভাবে ভেঙ্গে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুদ্দুস দাবী করেন, গত ৯ মে বিএনপির নামধারী ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীদের নিয়ে জমি দখলের তাদের ভবন উচ্ছেদ করতে জান। এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাকে অবহিত করে তেমন কোন প্রতিকার পাননি। ওই দিন সৈয়দ আশিক চৌধুরী বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমানকে ম্যানেজ করে ২/৩ দিনের জন্য কুয়াকাটা পাঠিয়ে দেয় বলে দাবী করেন। সৈয়দ আশিক চৌধুরীর বিউটি হলের জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ হলে ওসির বউর (স্ত্রী) নামে একটি ফ্ল্যাট লিখে দেয়ার কথা বলেন। বিভিন্ন ধরণের অপরাধের কারনে সৈয়দ আশিক চৌধুরীর নামে আমেরিকায় ৪টি মামলার ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে এবং আমেরিকায় তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে বলে দাবী করেন কুদ্দুস।
সৈয়দ আশিক চৌধুরীর পরিবারের প্রতারনার কারনে ডেভেলপার পার্টনার ও বিনিয়োগকারীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীরা। বিষয়টি জানতে আশিক চৌধুরী ফোন নম্বরে কল করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমানের নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।