স্কুলের শ্রেনি কক্ষে প্রতিবন্ধী শিশুকে যৌণ হয়রানীর অভিযোগ

বাউফল প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ২য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তার বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে যৌণ হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানীর শিকার ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় অবহিত করার পর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও নির্যাতিত শিশুটির বাড়ি নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার মধ্য নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী (৮) মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যায়। তখন ওই শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ বিদ্যালয়ে আসেনি। সকালে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর শিশুটির পিছু নেয় স্থানীয় কালু (৩৮) নামের এক অটোচালক । শিশুটির পেছনে পেছনে কালু বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ পর্যন্ত যায়। এরপর শ্রেণি কক্ষে একা পেয়ে শিশুটির বুকে হাত দেয় কালু। শিশুটির আপত্তিকর স্থানে খারাপ স্পর্শ করে সে। কালু লুঙ্গি উচিয়ে শিশুটিকে তার যৌণাঙ্গ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে ভয়ে শিশুটি ডাক চিৎকার দিলে কালু দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে সবকিছু বলে দেয়।
স্থাণীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য শিশুটির মাকে আশ্বাস দেয়। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার না পেয়ে শিশুটির মা ও চাচা বৃহস্পতিবার বাউফল থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। বাউফল থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসআই মাসুদকে তদন্তের জন্য পাঠান। বৃহস্পতিবার বিকালে এসআই মাসুদ বলেন, আমি বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছি।
শিশুটির চাচা সাইফুল ইসলাম বলেন, কালু ২ সন্তানের জনক এবং পেশায় অটো রিক্সা চালক। আর শিশুটির বাবা কয়েকবছর আগে মারা যান। তার মা (আমার ভাবি) একটি এনজিওতে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। সামান্য বেতন দিয়েই সংসার পরিচালনা সহ প্রতিবন্ধী মেয়েকে লেখাপড়া করান। ঘটনার পর আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ এসে তদন্ত করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
বিষয়টি জানার জন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নেছা কণাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বাউফল থানার ওসি আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জানার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।