আগৈলঝাড়ায় ২০০ বছরের সরকারি পুকুর ভরাটের অভিযোগ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি !! বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ২০০ বছরের পুরাতন সরকারি পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জামায়াত নেতা ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফিরোজ সিকদার, বাকাল ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেমায়েত উদ্দিন শিকদার এবং বাকাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম রোমেন ওরফে রুবেল সিকদার। স্থানীয় সূত্র জানায়, পয়সা হাট একটি বাণিজ্যিক বন্দর।
এই বন্দরের মধ্যখানে ২০০ বছরের পুরাতন একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরটি ফিরোজ, হেমায়েত ও রোমেন মিলে দখল করে ১৫ জানুয়ারি থেকে ভরাট করছেন। এ ছাড় প্রায় পাঁচ বছর আগে পুকুরে একটি অংশ ভরাট করে দোকানঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন তারা। জনগণের পক্ষে অভিযোগকারী মো. হান্নান শেখ সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজার পরিচালনায় কোনো কার্যকরী কমিটি নেই।
কমিটি না থাকার সুযোগে রোমেন, হেমায়েত ও ফিরোজ শিকদার মিলে পুকুরটি ভরাট করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারে সময় প্রভাব খাঁটিয়ে পুকুরে একটি অংশ ভরাট করে তিনটি ঘর উত্তোলন তুলে ভাড়া দেন তারা। স্থানীয় আব্দুর রব শেখ (৭৫) ও দেলোয়ার শেখ (৬০) জানান, ফিরোজ, হেমায়েত ও রোমেন মিলে পুকুরটি বালুদিয়ে ভরাট করছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এরা সুচতুর যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্ম করেন তারা। বাকাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পয়সারহাট বন্দর কমিটির সভাপতি বিপুল দাস বলেন, সরকারি পুকুর ভরাট করলে প্রশাসনকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পুকুর ভরাট কাজের সঙ্গে জড়িত নই। রুবেল নামের এক ব্যক্তি পুকুর ভরাট করার কথা শুনেছি।’ অভিযুক্ত হেমায়েত বলেন, ‘আমি ওই পুকুরে বালু ভরাট করিনি।
আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।’ অভিযুক্ত রোমেন বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে আমি ও ফিরোজ বরাদ্দ নিয়ে দোকান তৈরি করে ভাড়া দিয়েছি। দোকানের মাল রাখতে সমস্যা হয় তাই আমি কিছু বালি ফেলেছি। আমি দখলের জন্য বালু ফেলে ভরাট করিনি। বালু ফেললে ঝামেলা হবে আমি বুঝতে পারিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে বিষয়টি তদন্তে জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমতি ছাড়া সরকারি পুকুর ভরাট করা অপরাধ। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।