বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতি!

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে নানা অনিয়মের কারনে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, কর্তব্যে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপনে নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা নয়ছয়সহ নানা অভিযোগ। অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুন। স্কুলের শিক্ষক দিয়ে কলেজে পাঠদান করানো হচ্ছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে নজর না দিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার করে দু হাতে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিতে ঘটছে অর্থ তছরুপের ঘটনা। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব নেয়ার পরেই আবু মামুন পছন্দের কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের দেয়া হয় বিধি বহির্ভুত সুযোগ -সুবিধা। এমনকি পরীক্ষার ডিউটি না করলেও দেয়া হয় পরীক্ষা ডিউটির সম্মানী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর এহতেশাম উল হককে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই ভাগ্য খুলে যায় আবু মামুনের। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েই দুর্নীতি,অনিয়ম আর আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পরেন।
সকল শিক্ষকদের পাঞ্জেরী গাইড দিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন করার এবং শিক্ষার্থীদের পাঞ্জেরী গাইড ক্রয়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সব প্রশ্ন পাঞ্জেরী গাইড থেকে করা হয়। আমরা বাধ্য হয়ে পাঞ্জেরী গাইড ক্রয় করি।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু মামুনের কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের তহবিল থেকে ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে তার সিন্ডিকেট শিক্ষকদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করেন। স্টাফ কাউন্সিলের টাকা গুটিকয়েক ব্যক্তির ভ্রমন বিলাসের জন্য নয় এমন মন্তব্য করেছে এক শিক্ষক। তিনি বলেন, এটা সম্পুর্ন অন্যায় ও অনিয়ম।
শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা দিয়ে বাৎষরিক পরীক্ষায় বিরিয়ানী খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। অথচ আবু মামুন দ্বায়িত্ব নেয়ার পরে শিক্ষার্থীদের বিরিয়ানী না খাইয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাতা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শুধু তাই নয় বাৎষরিক কেনা কাটা বাবদ প্রায় ৮ লাখ টাকার অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেছে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে। সাবেক অধ্যক্ষ এহতেশাম উল হক চলে যাওয়ার পরেই ছোট ছোট ৩৫ টি নামকাওয়াস্তে প্রকল্প বানিয়ে সরকারি অর্থ লোপাট ও অর্থ তসরুপের অভিযোগ উঠেছে।
নিয়ম কানুন ও বিধি বিধান লঙ্গন করে তিনজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। ইলেকট্রিশিয়ান পদে ইউসুফ,কম্পিউটার অপারেটর পদে শামিম ও অফিস সহকারি পদে ওলিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় নিম্মমানের উপহার সামগ্রী দেয়া, নিজের লোকদের দিয়ে ক্রয় করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উপহার সামগ্রীর নামে অর্থ আত্মসাৎ,পরীক্ষা ডিউটি না করেও শিক্ষক অহিদুজ্জামানকে পরীক্ষা ডিউটির সম্মানী দেয়াসহ গুরুতর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃংখলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রায় ১৮ লাখ টাকার ফ্লোর মোজাইকের কাজ চলমান। অথচ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এক মাস আগে নিজে দায় নিয়ে সম্পুর্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে বুঝে নিয়েছেন।
সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক অহিদুজ্জামান বলেন, আমি পরীক্ষার ডিউটি পালন না করেই সম্মানী নিয়েছি এটা সঠিক। তবে আমি পরীক্ষা কমিটিতে ছিলাম। তাই হয়তো সম্মানী দেয়া হয়েছে। ক্রীড়া সামগ্রী কেনাকাটায় তিনি কমিটির লোক না হয়েও কেনা কাটার কথা অপকটে স্বিকার করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাব রক্ষক আমির হোসেন বলেন, ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের বিরিয়ানী খাওয়ানো হয়নি তবে এবছর বিরিয়ানী খাওয়াবো। আর্থিক অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অধ্যক্ষের কাছ থেকে জানার পরামর্শ প্রদান করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু মামুন বলেন, যে সব প্রশ্ন করেছেন তা সবই মিথ্যা। যা করেছি স্টাফ কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়েই করেছি। এছাড়া সব জানতে কলেজে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বরিশাল নগরীর রাজা বাহাদুর সড়ক ও বেলস পার্কের উত্তর পাশে ১ একর ৮ শতাংশ জমির ওপর স্থাপন করেন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একসভায় প্রকল্পটি গৃহীত হয় ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজটিকেও সরকারিকরন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর এহতেশাম উল হককে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই ভাগ্য খুলে যায় আবু মামুনের। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েই দুর্নীতি,অনিয়ম আর আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পরেন।
সকল শিক্ষকদের পাঞ্জেরী গাইড দিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন করার এবং শিক্ষার্থীদের পাঞ্জেরী গাইড ক্রয়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সব প্রশ্ন পাঞ্জেরী গাইড থেকে করা হয়। আমরা বাধ্য হয়ে পাঞ্জেরী গাইড ক্রয় করি।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু মামুনের কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের তহবিল থেকে ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে তার সিন্ডিকেট শিক্ষকদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করেন। স্টাফ কাউন্সিলের টাকা গুটিকয়েক ব্যক্তির ভ্রমন বিলাসের জন্য নয় এমন মন্তব্য করেছে এক শিক্ষক। তিনি বলেন, এটা সম্পুর্ন অন্যায় ও অনিয়ম।
শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা দিয়ে বাৎষরিক পরীক্ষায় বিরিয়ানী খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। অথচ আবু মামুন দ্বায়িত্ব নেয়ার পরে শিক্ষার্থীদের বিরিয়ানী না খাইয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাতা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শুধু তাই নয় বাৎষরিক কেনা কাটা বাবদ প্রায় ৮ লাখ টাকার অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেছে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে। সাবেক অধ্যক্ষ এহতেশাম উল হক চলে যাওয়ার পরেই ছোট ছোট ৩৫ টি নামকাওয়াস্তে প্রকল্প বানিয়ে সরকারি অর্থ লোপাট ও অর্থ তসরুপের অভিযোগ উঠেছে।
নিয়ম কানুন ও বিধি বিধান লঙ্গন করে তিনজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। ইলেকট্রিশিয়ান পদে ইউসুফ,কম্পিউটার অপারেটর পদে শামিম ও অফিস সহকারি পদে ওলিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় নিম্মমানের উপহার সামগ্রী দেয়া, নিজের লোকদের দিয়ে ক্রয় করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উপহার সামগ্রীর নামে অর্থ আত্মসাৎ,পরীক্ষা ডিউটি না করেও শিক্ষক অহিদুজ্জামানকে পরীক্ষা ডিউটির সম্মানী দেয়াসহ গুরুতর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃংখলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রায় ১৮ লাখ টাকার ফ্লোর মোজাইকের কাজ চলমান। অথচ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এক মাস আগে নিজে দায় নিয়ে সম্পুর্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে বুঝে নিয়েছেন।
সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক অহিদুজ্জামান বলেন, আমি পরীক্ষার ডিউটি পালন না করেই সম্মানী নিয়েছি এটা সঠিক। তবে আমি পরীক্ষা কমিটিতে ছিলাম। তাই হয়তো সম্মানী দেয়া হয়েছে। ক্রীড়া সামগ্রী কেনাকাটায় তিনি কমিটির লোক না হয়েও কেনা কাটার কথা অপকটে স্বিকার করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাব রক্ষক আমির হোসেন বলেন, ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের বিরিয়ানী খাওয়ানো হয়নি তবে এবছর বিরিয়ানী খাওয়াবো। আর্থিক অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অধ্যক্ষের কাছ থেকে জানার পরামর্শ প্রদান করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু মামুন বলেন, যে সব প্রশ্ন করেছেন তা সবই মিথ্যা। যা করেছি স্টাফ কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়েই করেছি। এছাড়া সব জানতে কলেজে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বরিশাল নগরীর রাজা বাহাদুর সড়ক ও বেলস পার্কের উত্তর পাশে ১ একর ৮ শতাংশ জমির ওপর স্থাপন করেন বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একসভায় প্রকল্পটি গৃহীত হয় ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজটিকেও সরকারিকরন করা হয়।