১০ জুয়াড়ি আটক, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

জানুয়ারি ২২ ২০২৫, ১৮:৩৭

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি !! বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১০ জন জুয়াড়িকে টাকাসহ আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে বাকাল ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা না করার জন্য তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আটকরা হলেন ফুল্লশ্রী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন, বাকাল গ্রামের জুরান ফকিরের ছেলে শামীম ফকির, সেকেন্দার ফকিরের ছেলে সেলিম ফকির, সালমান ফকিরের ছেলে মানিক ফকির, মো. নুরুল হকের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম, পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লার ছেলে কামাল মোল্লা, হাবিবুর রহমানের ছেলে পিন্টু মোল্লা, তালতা গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার, চলবল গ্রামের বিশ্বনাথ হালদারের ছেলে শ্যামল হালদার, রামশীল গ্রামের হরেন রায়ের ছেলে নয়ন রায়।

তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ফারিহা তানজিন প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে এক হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাল গ্রামের জলিল ফকিরের মাছের ঘেরের পাড়ে জুয়াখেলা অবস্থায় ১০ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। জুয়াড়িদের কোর্টে ও সঙ্গে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে যায় পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা না করার জন্য তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

শ্যামল হালদার, নয়ন রায়, মানিক ফকির ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটকদের একজন আত্মীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ খেলার কোর্ট থেকে এক লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া মামলা নেবে না বলে আমাদের কাছ থেকে পুলিশ ৭৫ হাজার টাকা নেয়।’

পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) সমীর রায় ও অনুপম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়াড়িকে আটক করি। এ সময় তাদের জুয়ার কোর্ট থেকে পাঁচ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার টাকা আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।’
আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সুশংকর মল্লিক বলেন, ‘জুয়াড়িদের আটক করে ইউএনওর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ যদি আটকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ তাদের আটক করে।

জুয়ার আইনের বিধি মোতাবেক তাদের প্রতিজনকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আমার অজান্তে পুলিশ যদি আর্থিক কোনো সুবিধা নিয়ে থাকে তা অপরাধ।’ বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল অফিসার) শারমিন সুলতানা রাখি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো পুলিশ যদি অপরাধ করে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।