হিজলায় পরিত্যক্ত লঞ্চঘাট পরিদর্শনে সরকারের দুই উপদেষ্টা

মে ০৯ ২০২৫, ১৮:১২

মোঃ হাবিবুল্লাহ, হিজলা : বরিশালের হিজলা উপজেলায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত থাকা গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌলভীর হাট (তুলাতলী) লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসেছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই উপদেষ্টা।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল ১০টায় ড্রেজিং কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং নৌ-পরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নদীতে প্রতি বছর পলি জমে। এজন্য ড্রেজিং কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি। আগে এই নদীপথে বড় বড় লঞ্চ ও জাহাজ চলত। এখন নদীর তলদেশ পলিতে ভরে যাওয়ায় নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সঠিকভাবে নদী খনন করে চ্যানেল তৈরি করা গেলে আধুনিক লঞ্চঘাট গড়ে তোলা সম্ভব, যা এ এলাকার যোগাযোগ ও উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

তবে এই ড্রেজিং প্রকল্পকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে উদ্বেগ ও বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ—নদী ড্রেজিংয়ের আড়ালে একটি প্রভাবশালী চক্র গঠিত হয়েছে, যারা সরকারি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত বালু মজুদ করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে এলাকাবাসী একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের দাবি—ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে তাদের বসতভিটা নদীভাঙনের কবলে পড়বে এবং জীবনের সবকিছু হারাতে হতে পারে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও স্থানীয় মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন:মোহাম্মদ রায়হান কাওসার, বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল। মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক, বরিশাল।

চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ মোঃশরীফ উদ্দিন। পুলিশ সুপার, বরিশাল, প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী, মোঃইলিয়াস সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হিজলা। শেখ মো. আমিনুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (ওসি), হিজলা থানাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ ও সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।