ববি শিক্ষার্থীদের মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার : বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির বিরোধের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এর প্রতিবাদে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিলে ১ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মারধরের শিকার ওই তিন শিক্ষার্থী বর্তমান শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তানজিল আজাদ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ভোলারোডে যাত্রী উঠানো নিয়ে সিএনজি ও বাস মালিক সমিতির লোকদের মধ্য বিরোধের সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামানোর জন্য গেলে তাদের মারধর করে শ্রমিকসহ স্থানীয় ৫-৭ জন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সিএনজি ও বাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের মধ্য মারামারি থামাতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা শুনে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশও আসে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নেন। দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বরিশাল জেলা বাসমালিক গ্রুপের আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, বাস মালিক সমিতির লোকজনের ওপর মাহিন্দ্র শ্রমিকরা হামলা করেছে। পাঁচজন শ্রমিক আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি।
তিনি আরও বলেন, বাস শ্রমিকরা দাবি করেছেন, তারা যদি সড়কে নিরাপদ বোধ না করেন তাহলে তারাও ধর্মঘট করবেন।