উপকূলজুড়ে অতিভারী বৃষ্টিপাত, জনজীবন বিপর্যস্ত

জুলাই ০৮ ২০২৫, ১৯:১৬

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এরসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা যুক্ত হয়ে উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে অতিভারী বৃষ্টিপাত। এরই অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে সবুজবাগ, শেরেবাংলা সড়ক, পুরান বাজার, নতুন বাজার, এসডিও রোড ও তিতাস মোড়সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। একইসঙ্গে গ্রামাঞ্চলেও তলিয়ে গেছে বহু মাছের ঘের ও পুকুর।

নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আমিরুল হক বিশ্বাস জানান, গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে আছে। ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় ময়লায় আটকে পানি বের হতে পারছে না। অনেকের বাড়িঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে গেছে।

এসডিও রোডের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‌‘বাসায় পানি উঠে গেছে। সামনের দোকানপাটেও পানি ঢুকেছে। যদি বৃষ্টি সারাদিন এমনই থাকে, তাহলে আমাদের অন্যত্র আশ্রয় নিতে হতে পারে।’

এদিকে কুয়াকাটা উপকূলসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। ছোট-বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে—এমন আশঙ্কায় পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানিয়েছেন, পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।