সাত বোনের সম্পত্তি নিয়ে নয়ছয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও ভূয়া রেকর্ড দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। সে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে। ফজলুল হক তার ৭ জন চাচাতো বোনের কাছ থেকে জমির ভূয়া রেকর্ড দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে করছেন হয়রানী।
সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাইবোন। ফজলুল হকের চাচা মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ৭ মেয়ে দেলোয়ারা বেগম, শাহিনুর বেগম, জাকিয়া বেগম, হেলেনা বেগম, তাছলিমা বেগম, জিনাত জাহান, নাজনিন সুলতানা সিমু। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির হিসেব চাইলে ভূয়া রেকর্ড দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ফজলুল হক।
এক্ষেত্রে ফজলুল হক তাদের আত্মীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এ ধরণের কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন চাচাতো বোনরা। তারা বলেন, জমির রেকর্ডসহ কাগজ পত্র চাইলে ফজলুল হক গড়িমসি শুরু করে। উল্টো আদালতের মিথ্যা মামলা (মামলা নং- ৫১৯/২৫) দায়ের করে ওয়ারিশদের বাড়ি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এতে অসহায় হয়ে পড়ে ৭ বোন।
দেলোয়ারা বেগম বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন ফজলুল হক। আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তি চাই।
জানা গেছে, মৃত আঃ খালেক হাওলাদার গং কর্তৃক দায়েরকৃত ৭৮/৯৩ নং বন্টনের মামলা বিগত ২২-২৩ বছর চলার পরে ২০০৪ সালের ২০ জুন বরিশাল সিনিয়র সাব জজ কোর্ট থেকে অর্ধেক ভাগে প্রাথমিক ডিগ্রী প্রাপ্ত হওয়ার পরে উকিল কমিশনের মাধ্যমে পরিমাপের পর ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল কোট থেকে প্রাথমিক ডিক্রিকে চূড়ান্ত ডিগ্রিতে রূপান্তিরিত করা হয়। উকিল কমিশনের দাখিলকৃত চিটা নক্সাকে চুড়ান্ত রায়ের একাংশ হিসাবে গণ্য হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলুল হক বলেন, একই খতিয়ানের সম্পত্তিতে তার চাচাতো বোনরা ভাউন্ডারি ও ভবন নির্মাণ করতে গেলে তিনি বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আদালতে মামলা করেন। আর শত বছরের রেকর্ড কখনও ভূয়া হয়না। যে পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা বলছেন সে কানাডায় পিএইচডি করতে গেছেন।
এই জমি নিয়ে কিছুদিন পূর্বে ফজলুল হকের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে পেতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আর্কষন করেছেন চাচাতো বোনরা।