বর্ষা এলেই পর্যটকসহ ১০ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি

জুলাই ০৯ ২০২৫, ১৮:৩০

কলাপাড়া প্রতিনিধি : পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ব্যস্ততম রাস্তাটি কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছে। সূর্যোদয় গঙ্গামতি স্পট, মিশ্রীপাড়া রাখাইন তাঁত পল্লী ও রাখাইন জাদুঘর যাতায়াতে এটি বিকল্প পথ। বর্ষা এলেই পর্যটকসহ ১০ গ্রামের মানুষের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। কাঁদা পানি জমে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। কাঁচা এ রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হলেও কোনো সুফল পায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা পৌরসভা লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসল্লিয়াবাদ সিনিয়র মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৎ সংঘ মন্দির রয়েছে এ রাস্তাটির আশপাশে। শীত মৌসুমে এই রাস্তায় ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ শতশত যানবাহন চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কটি হাঁটু সমান কাঁদা হয়ে যায়। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা নিতে যেতে দুর্ভোগের যেন শেষ থাকে না।

এছাড়া মৎস্যবন্দর আলিপুর মহিপুর সাপ্তাহিক বাজারে কৃষকদের উৎপাদিত শাক সবজি, ধান আনা নেওয়া করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আশপাশের সড়কগুলো পাকা হলেও এ রাস্তটি এখনো কাঁচাই রয়ে গেছে।

মুসল্লিয়াবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে তাদের প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসতে যেতে হয়। শুকনো মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বর্ষার পানি জমে হাঁটু সমান কাঁদা হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জানান, জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি আজও কাঁচা রয়ে গেছে। তিনি সড়কের এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো কাঁচা রয়েছে। যেগুলো পাকা করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে সেই কাজ করতে পারছি না। তবে নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে এসব সড়ক দ্রুত পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।