রাঙ্গাবালীতে গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের ১৫ কর্মী

সেপ্টেম্বর ০৯ ২০২৫, ২১:০৭

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি : সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঘড়ির কাটায় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রাঙ্গাবালী সাব-জোনাল অফিসে তখনও সুনসান নীরবতা। ক্যাশ বিভাগের কক্ষে তালা ঝুলছে। অফিসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহক সেবা দেওয়ার অধিকাংশ ডেস্ক ফাঁকা। হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী অফিসে আছেন। কিন্তু কোনো গ্রাহক নেই। তাই গ্রাহক সেবা দেওয়ার দৃশ্যও নেই।

পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশজুড়ে ডাক দেওয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার থেকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী সাব-জোনাল অফিসের ১৫ জন কর্মচারী গণছুটিতে রয়েছেন। সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্তও তারা কর্মস্থলে যোগ দেননি। এমনকি গণছুটি প্রত্যাহার করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গাবালী সাব-জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘রোববার থেকে আজ (সোমবার) পর্যন্ত আমাদের অফিসের ১৫ জন কর্মচারী গণছুটিতে রয়েছেন। তারা কেউ এই গণছুটি প্রত্যাহারের আবেদন করেনি। এই কারণে আমাদের গ্রাহক সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়গুলো তাৎক্ষণিক আমরা সমাধান করতে পারছি না।’ বিকেল ৩টার মধ্যে গণছুটি প্রত্যাহারের কথা থাকলেও ৩টা ২৮ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘কেউ এখন পর্যন্ত গণছুটি প্রত্যাহার করেননি।’

অফিস সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গাবালী সাব-জোনাল অফিসে মোট ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে আন্দোলনে সাড়া দিয়ে গণছুটিতে রয়েছেন ১৫ জন কর্মী। তাদের পদবি লাইনম্যান, মিটার রিডার ও বিলিং সহকারী। অথচ রোববার বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের গলাচিপা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (রাঙ্গাবালীর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তারা ছুটিতে গেছে। এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ক্যাশ বিভাগ চালু আছে। আপনি যখন গেছেন, তখন হয়তো ক্যাশের লোক বাইরে ছিল।’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন হুশিয়ারি উপেক্ষা করলেও কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তারা যে প্রক্রিয়ায় আগাবে, আমরা সেভাবে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে দেবো।’