ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর স্পর্শকাতর স্থানে কামড়!

জানুয়ারি ০৫ ২০২৫, ২০:৫৬

স্টাফ রিপোর্টার !! বরিশাল নগরীর নাজির মহল্লা এলাকায় শিশু সন্তানকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর স্তন কামড়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই গৃহবধূকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বরিশাল নগরীর শোলনা এলাকার মৃত মতলেব শরীফের ছেলে মোঃ মামুন শরীফের সাথে নাজির মহল্লার আলী আকবর শওকতের মেয়ে সুমির বিবাহ হয়। এরপর থেকে মামুন শরীফ নাজির মহল্লাস্থ শ্বশুর বাড়ি ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে। পাশাপাশি রং মিস্ত্রির কাজ করেন।

আহত গৃহবধূ শাকিলা আক্তার জানান, সম্প্রতি মামুন শরীফ তার সম্বন্ধী বরকত আলী রুম্মানের ৯ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে বরকত আলী রুম্মানের স্ত্রী শাকিলা আক্তার গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ননদের স্বামী (ভগ্নিপতি) মামুন শরীফকে জিজ্ঞেস করলে তেড়ে আসে। এক পর্যায়ে শাকিলা আক্তারকে মারধর শুরু করে মামুন। এ সময় নদন ও শ্বাশুড়ি শাকিলাকে চেপে ধরলে মামুন বেধড়ক মারধরের এক পর্যায়ে তার স্তনে কামড় দিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত শাকিলা আক্তারকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। শাকিলা আক্তার বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মহিলা সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

শাকিলা আক্তার আরও জানান, শ্বাশুড়ি ননদ আর ভগ্নিপতি আমাকে সব সময় নির্যাতন করতো। আমি প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। যখন আমার মেয়ের দিকে নজর দেয় তখন আমি প্রতিবাদ জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সময় তারা আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। বেধড়ক মারধর করে স্পর্শকাতর স্থানে (স্তন) কামড় দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পরি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন শাকিলা আক্তার।

অভিযোগ অস্বীকার করে মামুন শরীফ বলেন, সম্বন্ধীর স্ত্রীর ছেলে মেয়ে রেখে অজানা স্থানে চলে গিয়েছিলো। এরপর হঠাৎ আবার এসে তার শিশু কন্যাকে দিয়ে এ ধরণের মিথ্যা কথা বলাতে বাধ্য করে। আমরা এর আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রী-শ্বাশুড়িকে মারধর করে সম্বন্ধী ও তার স্ত্রী। তবে স্তনে কামড়ের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে ননদ সুমির দাবী, কামড়টি তার স্বামী নয় তিনি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।