হামলা-মারধর-লুটপাট: আ’লীগের ১৫ নেতাকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি

নভেম্বর ২৪ ২০২৪, ০০:৫৩

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: video;hw-remosaic: false;touch: (0.37361112, 0.1859375);sceneMode: 0;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 41;

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের উজিরপুরের সাতলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-থানার ওসির বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবারের উপর হামলা মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান। তবে অভিযোগ অসত্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ১ নং সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। সাতলায় তাদের ২০ একর জমি ও মাছের ঘের রয়েছে। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে লুটপাট করে খেয়েছে।

এই জমি ও মাছের ঘের দখল করতে এলাকার ভূমিদস্যু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরও মরিয়া হয়ে পরে। দখল করতে না পেরে তাকে বিভিন্ন মামলায় দিয়ে হয়রানি ও হেনস্তা করে। এমনকি উজিরপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ জাফর আহমেদ, এসআই আসিক ও এএসআই সুমন বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা (সিআর ৫৮/২৪) দায়ের করেন।

মাছের ঘের দখল করার জন্য গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় সাতলার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি টুটুল বিশ্বাস, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল বালী, আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুল মিয়া, জাকির মিয়া, যুবলীগ নেতা আনোয়ার বালী, শ্রমিকলীগ নেতা মিলন বিশ্বাস, ফিরোজ হাওলাদার, নায়েব হাওলাদার, ফারহিন বালী, ফয়েজ হাওলাদার, কবির হাওলাদার, মস্তফা মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফসের হাওলাদার, ছাইদুল বিশ্বাস, আবু তাহের হাওলাদার সহ অজ্ঞাত ৫/৭ সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানের পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এতে মারাত্মক ভাবে আহত হয় মিজানের ভাই মনিরুজ্জামান। এছাড়া মিজানের বোনকে শ্লীলতাহানি করে সন্ত্রাসীরা। মনিরুজ্জামান আগৈলঝাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পরে ১৮ নভেম্বর বরিশাল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে মিজানুর রহমানকে ফাঁসাতে গত ২৪ আগস্ট রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে সাতলা ব্রিজে জোড়া মার্ডারের ২২ নং আসামি দেয়া হয় তাকে। কিন্তু ঘটনার সময় মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নি আগৈলঝাড়া থানায় অবস্থান করছিলেন। যা থানার সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও সপ্তম পদাধিক ডিভিশনের জিওসি এবং কসবা আর্মি ক্যাম্পে লিখিতভাবে জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওসি জাফর, এসআই আশিক, এএসআই সুমন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তিনি করেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আপনারা এলাকায় খোঁজ নিলে আসল সত্য জানতে পারবেন।