পুত্রবধূ হত্যা মামলায় স্বামী ও শাশুড়ির জেল

আমতলী প্রতিনিধি !! আমতলীতে তিন্নি হত্যা মামলায় স্বামী ও শাশুড়িকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে পরকিয়ার অপবাদে স্ত্রী তিন্নিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মনির খাঁনকে প্রধান আসামি করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন। বুধবার রাতে তিন্নির মা রাহিমা বেগম এ মামলা করেন।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের নিজাম হাওলাদারের কন্যা তিন্নিকে বিয়ের আট মাসের মাথায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী মনির খাঁন পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্ত্রী তিন্নিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় স্বামী মনির খাঁন স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে ও তার মা লাইলি বেগমকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনায় নিহত তিন্নির মা রাহিমা বেগম আমতলী থানায় জামাতা মনির খানকে প্রধান আসামি করে তিন্নির শাশুড়ি লাইলি বেগম, শ্বশুর হারুন খাঁন ও দেবর আল আমিন খাঁনের নামে হত্যা মামলা করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেফতার স্বামী মনির খাঁন ও শাশুড়ি লাইলি বেগমকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
নিহত তিন্নির মা রাহিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অযুহাতে জামাতা মনির, তার বাবা হারুন খাঁন মা লাইলি বেগম ও ভাই আল আমিন নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় তাদের শাস্তি দাবি করছি।’
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘স্বামী মনির খাঁনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হত্যা মামলা করা হয়। গ্রেফতার দু’আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।