বরিশাল সদর হাসপাতাল
ডাক্তার-নার্স সবই আছে, নেই শুধু শয্যা

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 2;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 44;
ফাহিম ফিরোজ॥ বরিশালে দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে ডায়রিয়া পরিস্থিতি। সদর হাসপাতালে বুধবার নারী-পুরুষ মিলে ভর্তি ছিল ২৯ জন রোগী। কিন্তু রোগীর জন্য শয্যা রয়েছে ১২টি। তাই অতিরিক্ত রোগী মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে নারীদের জন্য পৃথক কোনো ওয়ার্ড নেই। বাধ্য হয়ে নারী ও পুরুষদের এক ওয়ার্ডে পাশাপাশি শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহরের বিভিন্ন এলাকা, এমনকী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকেও রোগীরা ভর্তি হয়েছেন এই হাসপাতালে। এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই শুধু শয্যা সংকটের কারনে রোগীদের হাসপাতাল ছাড়তে হচ্ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ অতিমাত্রায় শুরু হলে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হবে খোলা আকাশের নীচে।
যদিও শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ড নেই। তাই ডায়রিয়ার রোগী শেবাচিমে যাচ্ছেন না। এমনকি ভুলে কেউ গেলে তাকে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ড গত দুই বছর ধরে হাসপাতালের আলাদা একটি টিনসেড ঘরে স্থানান্তর করা হয়েছে। যেখানে ওয়ার্ডটি ছিল, সেখানে বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, জানুয়ারী মাসে ৩৮০ জন, ফেব্রুয়ারী মাসে ৩৯০ জন ও মার্চ মাসে তা ৫৩৬ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এই সংখ্যা চলতি মাসে প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। বরিশাল সদর হাসপাতালে মোট ডাক্তার-সেবিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা ৩৬৪ জন। সেখানে কর্মরত রয়েছেন ২৮২ জন।
বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, হাসপাতালে ৩৪জন চিকিৎসকের বিপরীতে ২৫জন এবং ১৯৪জন সেবিকার বিপরীতে ১৯৩জন কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসক কিংবা সেবিকার সংকটে নেই হাসপাতালে। তবে ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে ১২টি শয্যা রয়েছে। রোগী আরো বাড়লে টিনসেড ঘরে থাকা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডটিতে ডায়রিয়ার রোগীদের স্থানান্তর করা হবে।
মলয় কৃষ্ণ বড়াল আরো বলেন, রোগীরা সাধারনত সদর হাসপাতালেই আসেন, কারন এটি একটা সময় শেবাচিমের অধীনে ছিল। তখন থেকেই ডায়রিয়ার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। এখন হাসপাতালটি সিভিল সার্জনের অধীনে। তার পরেও রোগীরা এখানেই আসছেন। তবে শেবাচিম হাসপাতালে বয়স্ক রোগীদের জন্য ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু থাকলে এই সমস্যা এড়ানো যেতো।
শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামন বলেন, হাসপাতালটি মূলত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেই কারণে হাসপাতালে পৃথক ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা যাচ্ছে না। তবে ডায়রিয়ার রোগী যখনই হাসপাতালে আসছেন, তাদেরকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ডায়রিয়ার জন্য সদর হাসপাতালের পরিচিতি পুরো বিভাগ জুড়ে। তাই রোগীরা সরাসরি সদর হাসপাতালে ছুটে যান।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, চৈত্র-বৈশাখে পানিবাহিত রোগটির প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নদী ও খালের পানি ব্যবহারকারীরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হন। তাই আমরা ডায়রিয়া প্রতিরোধে বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে গ্রামাঞ্চলে সচেতনতামূল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান স্যালাইন মজুদ রাখা হয়েছে।