ভোলায় ২৪ ঘন্টায় চার শিশুসহ ৬ জনের প্রাণ

জুন ০১ ২০২৫, ২০:২৬

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় পৃথক পাঁচটি দুর্ঘটনায় চার শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক পুলিশ এ ছয়টি লাশ উদ্ধার করে। এর মধ্যে লালমোহন উপজেলায় তিনটি, চরফ্যাশনে দুটি, আরেকটি লাশ তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানিতে ডুবেই মারা গেছে ৩ শিশু, এক যুবক ও আরেক বৃদ্ধ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

আরেক শিশুর গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’র খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চর কালাচাঁদ গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে দেড় বছর বয়সী নাফিজা আক্তার ও তাঁর চাচাতো ভাই দুই বছর বয়সী মিনহাজ মারা যায়। দুপুরে পরিবারের সবাই ঘরে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের অজান্তেই দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

একই উপজেলার পৌরসভা গেইট এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চাপায় আবুল কালাম নামের ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

লালমোহনের তিনটি মৃত্যুর বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় তিনটি লাশই পরিবারের কাছে আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন-দুলারহাট সড়কের বটতলী এলাকায় ট্রলির ধাক্কায় রাসেল (২৮) নামের এক এনজিও কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রাসেল উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল খায়ের হাওলাদারের ছেলে।

এ ছাড়া সকাল ৬টার দিকে উপজেলার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে আফিয়া নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার ফয়সাল আহমেদের মেয়ে।

শিশুটির দাদা সিরাজুল ইসলাম জানান, শিশুটির মায়ের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগে তার বাবার বিচ্ছেদ হয়। এরপর শিশুটি মায়ের সঙ্গেই থাকতো। শুক্রবার রাতে শিশুটি তাঁর মায়ের কাছে ঈদে নতুন জামা চেয়েছিল। মা নতুন জামা কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার দাবি করছে।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শিশু আফিয়া ও এনজিও কর্মী রাসেলের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুরের পানিতে ডুবে মুশফিকা নামের দেড় বছর বয়সী আরেকটি শিশু মারা যায়। শিশুটি ওই ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।

তজুমদ্দিন থানার ওসি মোহাব্বত আলী খান বলেন, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু মুশফিকার মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়ায় শিশুটির লাশ তাঁর বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।