ডিসি’র প্রত্যাহারের দাবিতে অফিস ঘেরাও

জুন ১৪ ২০২৫, ১৮:২৬

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের ছোট চৌরাস্তা মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছায়। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসীন ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম ফাহিম। কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা একমত কণ্ঠে দাবি জানান।

তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন “দলবাজ” ও “গণঅভ্যুত্থান‑বিরোধী” কাজ করছেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নানা ‘অনৈকিক সুবিধা’ দিচ্ছেন। গোপন বৈঠকের ভিডিও ফাঁসসহ নানা দুর্নীতিতে তিনি জড়িত বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

নেতারা বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। একজন “বিতর্কিত” জেলা প্রশাসক নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন। তাই তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও সকল কর্মকাণ্ডের তদন্ত দরকার।

কর্মসূচির বক্তারা আরও উল্লেখ করেন—গলাচিপা, বাউফল ও কলাপড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অপসারণ চাইতে এলাকাবাসী আগে থেকেই পথে নেমেছে। এবার প্রথমবারের মতো কোনো জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবিতে রাজপথে নেমেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

৫ আগস্টের ছাত্র‑জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আরেফীন পটুয়াখালীর ডিসি হন। গত ১২ জুন চরবিশ্বাস ও চরকাজলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভা হয়। ওই সভায় নুরুল হক নুর বিএনপিকে নিয়ে বক্তব্য দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন ১৩ জুন গলাচিপা শহরে বিএনপি‑গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গলাচিপা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। নুরুল হক নুর দাবি করেন, জেলা প্রশাসক বিএনপি‑পক্ষ নিয়ে তার কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করেছেন।

দলের নেতারা বলেন, এসব ঘটনাই প্রমাণ করে ডিসির পক্ষপাতিত্ব। তাই তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। তাকে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেন বক্তারা।