ভোলায় নৌকা ডুবির দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কিশোরের

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি ট্রলারে থাকা ১৪ বছর বয়সী কিশোর মো. নুহাদের।
নিখোঁজ নুহাদ ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রেজাউলের ছেলে। এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও শনিবার (২১ জুন) বিকেলে পর্যন্ত নিখোঁজ নুহাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পরিবার।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর ব্লান্টির চর এলাকায় রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি জামাল-৮ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় মাছ ধরার নৌকাটি। ওই নৌকায় থাকা তিনজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও কিশোর নুহাদ নদীতে ডুবে যায়।
নিখোঁজ নুহাদের বাবা মো. রেজাউল জানান, তার ৯ ছেলে-মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে সবার ছোট নুহাদ। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী জাহান উদ্দিনের জেলে নৌকায় তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে যায় নুহাদসহ মোট চার জেলে।
এ সময় ঢাকাগামী এমভি জামাল-৮ নামে একটি লঞ্চ তাদের মাছ ধরা ট্রলারকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই ট্রলারে থাকা তিনজন জীবিত অবস্থায় তীরে ফিরলেও তার ছেলে নুহাদ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে গত দুই দিন ধরে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনোভাবেই নিহাদের হদিস পাচ্ছেন না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিখোঁজ কিশোরকে বহু জায়গায় খুঁজেছি।
তবে কোনোভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া নদীতে থাকা জেলেদেরকেও বলে দেওয়া হয়েছে তারা ওই কিশোরের কোনো সন্ধান পেলে যেন আমাদের দ্রুত অবহিত করেন।’
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। আমাদের জানা মতে শনিবার পর্যন্ত নিখোঁজ কিশোরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে নিখোঁজ ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’