ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার আসাদ, ঘুরে ফিরে বার বার একই জায়গায়

জুলাই ০১ ২০২৫, ১৯:৪৫

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকুরিতে কর্মস্থল বদলী প্রক্রিয়া স্বাভাবিক। তবে বদলী হলেও বার বার একই জায়গায় রহস্যজনকভাবে ফিরে আসছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল/এ শাখার সার্ভেয়ার আসাদুল রহমান আসাদ। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন একই অফিসে চাকুরি করার সুবাদে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ঘুষ বানিজ্যের সিন্ডিকেট।

সংশ্লিষ্ট অফিসের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সার্ভেয়ার আসাদুর রহমানের পদায়ন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হলেও রহস্যজনক কারণে তিনি বিগত ১১ বছর ধরে সংযুক্তিতে পটুয়াখালীতে কর্মরত রয়েছেন।

৫ ই আগস্টের পর দেশের পট পরিবর্তন হলে এল/এ শাখার সার্ভেয়ার মোঃ মোশারফ হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, আবুল কালাম, মোঃ ইমরান হোসেন, বিশ্বজিৎ। কানুনগো মোঃ ফজলুল রহমান, ইব্রাহীম , মোঃ কুদ্দুস রহমান এদেরকে বদলি করা হয়েছে। এই সুযোগে দুনীতি ও অনিয়ম সহ নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সার্ভেয়ার আসাদ নিজের ভোল পাল্টে নতুন ভাবে ভূমি অধিগ্রহণ (এল/এ) শাখায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বদলি হয়ে আসেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ২০১৫ সালে যোগদানের পর একটানা পাঁচ বছর ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কাজ করার পর ২০২০ সালে তাকে গলাচিপা উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু ছয়মাস যেতে না যেতেই তদবির করে তিনি (আসাদ) পূর্ণরায় পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় চলে আসেন।

পরবর্তীতে ব্যাপক দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তাকে মির্জাগঞ্জে বদলী করা হলেও সেখানে ছয় মাস যেতে না যেতেই তিনি (আসাদ) আবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বদলি হয়ে চলে আসে।

সার্ভেয়ার আসাদুল রহমান আসাদ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নিজস্ব সিন্ডিকেট শক্তিশালী করতে নিজের পছন্দের সার্ভেয়ারদের তদবির করে টাকার বিনিময়ে নিজের (এল/এ) শাখায় বদলি করে এনেছেন। বদলির ক্ষেত্রে সার্ভেয়ার আসাদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সার্ভেয়ার আসাদুর রহমান আসাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে এই দুনীতিবাজ সার্ভেয়ারের বদলির দাবি জানান।

এদিকে, সার্ভেয়ার আসাদুল রহমান ও তার সিন্ডিকেটের কয়েকজন সহযোগীর নানা অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীরা।

সার্ভেয়ার আসাদুল রহমান আসাদ কেন ঘুরে ফিরে বার বার একই জায়গায় আসেন জানতে চাইলে তিনি বলেন বদলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অসংখ্য দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সার্ভেয়ার আসাদ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বার বার বদলি হয়ে আসে এমন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর দেন নাই তিনি ব্যস্ততা বলে ফোন কেটে দেন।