মাইকিং করে ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, বিপাকে রোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার !! ফার্মেসি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) বরিশাল অফিস গুঁড়িয়ে দিয়ে তা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে জেলায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ওষুধ বিক্রির দোকানিরা।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এর আগে বিকেল থেকেই নগরে ৬ সহস্রাধিক ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, প্রিন্টিং মালিক ইকবাল আজম খান তাঁদের সমিতির কার্যালয় আজ ভোররাতে ভেঙে দখলে নিয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের (শেবাচিম) সামনেসহ গোটা নগরীতে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার ভোরে নগরের কালিবাড়ী রোডের মুখে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির জেলা কার্যালয়ের নিজস্ব ভবনে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বরিশালের সহ-সভাপতি এবং ওয়েস্টার্ন ফার্মেসির মালিক আ. সালাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মাইকিং করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত ইকবালকে গ্রেপ্তার না করা হবে, ততক্ষণ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’
ইতিমধ্যে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে, কাটপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকার দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে অপর এক ফার্মেসি মালিক রেজাউল ইসলাম খান রাজু জানান, সমিতির অফিস ভাঙচুর করেছে ইকবাল নামের এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্ত ইকবালকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। যে কারণে তাঁরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। সন্ধ্যার পর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
তবে অভিযুক্ত প্রিন্টিং ব্যবসায়ী ইকবাল আজম খান জানান, আওয়ামী লীগের আমলে তৎকালীন কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু নগরের কালিবাড়ী রোডের মাথায় তাঁর ২ শতাংশ জমি দখল করে সেখানে সংগঠনের কার্যালয় বানিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনার, ডিসি, থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইকবাল আজম বলেন, ‘ওই জমি আমার, তাঁরা জোর করে দখল করে রেখেছেন। যে কারণে রোববার ভোররাতে আমার জায়গায় স্থাপন করা একতলা অবৈধ ভবন ভেঙে দখল করেছি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মামলা দিলে তাঁরা তাও গ্রহণ করবেন।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে রোববার বিকেল থেকে শেবাচিম হাসপাতালের সম্মুখের, সদর হাসপাতালের সামনের সব ফার্মেসি বন্ধ দেখা গেছে। হাসপাতালের অনেক রোগী জরুরি ওষুধ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন।