জরিমানার বিধান না থাকায় বাড়ছে বকেয়া বিল

সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিসিএল’র পাওনা দেড় কোটি টাকা

মার্চ ২১ ২০২৫, ২০:৪৯

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 32768;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 38;

ফাহিম ফিরোজ, বরিশাল॥ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর টেলিফোন ও ইন্টারনেট বিল প্রদানে আগ্রহ নেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি জরিমানার বিধান না থাকায় বকেয়ার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১১ হাজার ৯৬১ সংযোগের বিপরীতে মোট বকেয়া ২ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯৩ টাকা। সরকারি প্রতিষ্টানের বিপরীতে বকেয়া বিলের পরিমান ৬৭ শতাংশ। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে রয়েছে ৩৩ শতাংশ বকেয়া।

এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৪ হাজার ৬৯৪টি সংযোগের বিপরীতে ৯০ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৮ টাকা বকেয়া। একইভাবে ভোলা জেলায় ১ হাজার ৫০৩টি সংযোগের বিপরীতে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৪ টাকা বকেয়া। বরগুনা জেলায় ১ হাজার ৪৪৭টি সংযোগের বিপরীতে ১৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭১৪ টাকা বকেয়া। পটুয়াখালী জেলায় ১ হাজার ৮১০টি সংযোগের বিপরীতে ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ১৬২ টাকা বকেয়া। পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ৮৫টি সংযোগের বিপরীতে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৪ টাকা বকেয়া। ঝালকাঠি জেলায় ১ হাজার ৪২২টি সংযোগের বিপরীতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৪৫১ টাকা বকেয়া।

বকেয়া বিলের বিপরীতে বর্তমানে ৪২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ২৫২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ৩৮ মামলার বিপরীতে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪০২টাকা আদায় করা হয়েছে।

বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, বকেয়া পরিশোধে জরিমানার বিধান না থাকায় বিল পরিশোধ আগ্রহ নেই গ্রাহকদের। ফলে দিন দিন বকেয়া বিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা গেছে ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইনের ৭ এর (ক) ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৮৬-১ এর (ক) আইন অনুযায়ী গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। মামলায় সমপরিমাণ অর্থের মাল ক্রোকের আদেশ হয়। এই নোটিশ পাওয়ার পরে গ্রাহকরা বকেয়া বিল পরিশোধ করেন। এভাবেই চলে আসছে বিটিসিএল এর বকেয়া বিল পরিশোদের আইন। বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে ব্রিটিশ সরকারের দেয়া আইন অনুযায়ী জরিমানার বিধান না থাকায় গ্রাহকরা বিল পরিশোদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। আর মামলা দায়ের ও মাল ক্রোকের আদেশ একটা দীর্ঘ প্রসেস হওয়ায় ঝুলে থাকে বকেয়া বিল।

তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মামলা রয়েছে। তবে পুরনো মামলাগুলো প্রতিবছরই নতুন করে দাখিল করা হয়। এক্ষেত্রে কয়েক যুগ আগের মামলাও বর্তমানে চলমান রয়েছে। এর অধিকাংশ ব্যক্তি মালিকানা মামলা। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিটিসিএল এর বিল পরিশোধে তেমন কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থাও নিতে পারছে না বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। তথ্য অধিকার আইনে ১০ জন শীর্ষ খেলাপির তালিকা চাওয়া হলে সেটি দিতে তারা অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে এই তালিকা সব সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে জানিয়েছেন তারা।

বিটিসিএল এর মহাব্যবস্থা মোঃ তরিকুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে যে বকেয়া বিল রয়েছে তা অনেক পুরনো। বকেয়া পরিশোধে গ্রাহকদের চিঠি দেয়া হচ্ছে। মামলা দেয়া হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বকেয়া আদায়ে ১০০ দিনের যে টার্গেট দিয়েছিল তাতে আমরা আশানুরূপ সারা পেয়েছি। জরিমানা না থাকা গ্রাহকদের জন্য এটা সুখবর। তবে বিল পরিশোধ আগ্রহ না থাকলে জরিমানার বিধান রাখা উচিত।