পায়রার পাড়ে প্রতিদিনই চলছে বাঁচার লড়াই

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ। দুমকি উপজেলার ৪ নম্বর আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর ও আশপাশের গ্রামে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম ও পূর্ণিমা-অমাবস্যায় পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পায়রা নদীর অরক্ষিত বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রতি বছরই জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রবল পানি প্রবাহে প্লাবিত হয় লোকালয়। এতে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, গাছপালা ও নানা সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ। অনেকের চিরতরে মুছে গেছে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি, কবর ও জীবনের স্মৃতিচিহ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. শাহনাজ বেগম বলেন, ‘৩০ বছর আগে স্বামীর হাত ধরে এই গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে আমার তিনটি ঘর। এখন যে ঘরে আছি, সেটিও হুমকির মুখে।’
ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা আর কোনো ত্রাণ চান না, চান একটি স্থায়ী সমাধান। অস্থায়ী মেরামত নয়, দ্রুত একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘বর্তমানে ভাঙন রোধে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই একটি স্থায়ী সমাধান কার্যকর করা হবে।’
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার আংশিক এবং ৬ কিলোমিটার সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।