ইন্দুরকানীতে ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাইছে স্থানীয়রা

ইন্দুরকানী প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর কালাইয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলে। ফলে বালিপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতি প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের তীব্র স্রোতের কারণে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরখালী-টগড়া ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া-পাথরঘাটা রুটে ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া জোয়ারের পানিতে ইন্দুরকানী আবাসন এলাকা, ইন্দুরকানী-কালাইয়া সড়কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে কালাইয়া, সাঈদখালী, ঢেপসাবুনিয়া, চরবলেশ্বর, কলারন, চণ্ডিপুর ও খোলপটুয়া গ্রামের বহু বসতবাড়ি।
চরবলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। কাঁচা ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আর ত্রাণ নয়, আমরা চাই টেকসই বেড়িবাঁধ।
ঢেপসাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুব হোসেন বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ না থাকায় বিদ্যালয় প্লাবিত হয়। বিদ্যালয়ের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষক ও অভিভাবকরা থাকেন চরম আতঙ্কে।
চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, আমার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান-বিন মোহাম্মদ আলী বলেন, বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।