‘হাসিনার একদলীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দলগুলোও ফ্যাসিবাদের দোসর’

স্টাফ রিপোর্টার : যেসব দল হাসিনার একদলীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারাও ফ্যাসিবাদের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বরিশাল নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের চাঁদমারী এলাকায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথী হিসেবে ও বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, হাসিনার একদলীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল গুটিকয়েক দল, তারাও মুলত ফ্যাসিবাদের দোসর । তাদেরকেও চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। কারণ সকল গণতান্ত্রিক শক্তি যখন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচন চেয়েছিল তখন কতিপয় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফ্যাসিবাদি সরকারকে দীর্ঘায়িত করার লাইসেন্স প্রদানের অংশীদার হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিনা ভোটে সারাদেশের দ্বায় তারাও এড়াতে পারে না। কারণ তারা যদি সেইদিন গণতান্ত্রিক দলগুলোর সাথে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতো তাহলে ফ্যাসিবাদি শাসন এতটা দীর্ঘায়িত হতে পারত না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খুজে বের করতে হবে ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্য কোন কোন রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী ও ব্যাক্তি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছিল।
রহমাতুল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে অনেকেই ভোল পাল্টে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি হওয়ার চেস্টা চালিয়ে এখন ফ্যাসিবাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত , মিথ্যাচার ও অপ-প্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে এখন অতি বিপ্লবী বলে প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই জাতির প্রয়োজনে ৩১ দফা উত্থাপন করেছিলেন। যেখানে নাগরিকদের অধিকার থেকে শুরু করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই কথাগুলোই আমরা সাধারণ জনতার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছি। যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ হবে সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। দলকে আরও সুসংগঠিত করে বিশ্ব পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে বিএনপির বিকল্প কেউ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
সভায় স্থানীয় বাসিন্দা মো: নুর ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন, নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বল, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মিলন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম জনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কেএম মাহমুদ, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা আকবর মুবীন, নগর স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রাহাত তালুকদার, ১১ নং ওয়ার্ডের মহিলা দল নেত্রী তানিয়া বেগম প্রমুখ।