পেয়ারার চড়া দামে উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : মৌসুমের শুরু থেকেই ফলন কম হলেও বেশি দামে পেয়ারা বিক্রি হওয়ায় খুশি ঝালকাঠির উদ্যোক্তারা। স্থানীয় এ পেয়ারা এখন সরবরাহ হচ্ছে সারা দেশে। জেলার গ্রামাঞ্চলের খালে খালে ভেসে চলছে পেয়ারার বিকিকিনি। কৃষি বিভাগের আশা, এ বছর প্রায় আট কোটি টাকার পেয়ারা বিক্রি হবে।
‘দক্ষিণের আপেল’ খ্যাত ঝালকাঠির পেয়ারার এখন ভরা মৌসুম। খাল আর কূলে জমে উঠেছে বিক্রির বাজার। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলি, শতদশকাঠি, জগদিশপুর, আঠাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে পেয়ারার মৌসুম চলছে। তবে প্রধান বাজার বসছে ভীমরুলি গ্রামের খালে।
দূর-দূরান্ত থেকে ফড়িয়া ও আড়তদাররা এখানে এসে পেয়ারা কিনে নিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করছেন। এ বছর ফলন কিছুটা কম হলেও দাম দ্বিগুণ হওয়ায় উদ্যোক্তারা খুশি। মৌসুমের শুরু থেকেই পাইকারি বাজারে পেয়ারার মনপ্রতি দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।
পেয়ারা উদ্যোক্তা ভবেন্দ্র নাথ হালদার বলেন, ‘এ বছর গত কয়েক বছরের তুলনায় দাম ভালো। মনপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পাইকারি দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবার মুখেই হাসি।’
স্থানীয় আড়তদার মনোজ হালদার বলেন, ‘ফলন কম হলেও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। মৌসুম শেষে আরও দাম বাড়বে। তাই সবারই লাভ হচ্ছে।’
ঢাকার কাওরান বাজারের ফড়িয়া ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমি বরিশালের পেয়ারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করি। আটঘর, কুড়িয়ানা, জিন্তাকাঠী ও ভীমরুলি থেকে পেয়ারা কিনে সড়ক ও নদীপথে পাঠাই। তবে ঝালকাঠির ভীমরুলির পেয়ারা সবচেয়ে ভালো মানের।’
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ বছর পেয়ারার দাম ভালো থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। এ মৌসুমে আট কোটি টাকার পেয়ারা বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায় ৪৬২ হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে।