আ.লীগের পতন হলেও পতন হয়নি আব্বাস হাওলাদারের
আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাসের খুঁটির জোর কোথায়?

স্টাফ রিপোর্টার : ফ্যাসিবাদরে অন্যতম দোসর মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা আব্বাস হাওলাদারের জুলুম, নির্যাতন এবং সন্ত্রাসী কর্মকন্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা ১২ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের হলরুমে ভুক্তভোগীদের মধ্যে স্বপন সরদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে স্বপন সরদার বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস হাওলাদার মুলাদী উপজেলায় একটি ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। গড়ে তুলেছিল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তার মতের বিরুদ্ধে গেলেই হামলা, মামলাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকে।
তিনি বলেন, মুলাদী উপজেলার চরকমিশনার এলাকার আঃ ছালাম হাওলাদারের প্রতিবন্ধি ছেলে মনির হাওলাদারকে ২০২২ সালের ২৪ মে আব্বাস হাওলাদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা করেছেন। আব্বাস হাওলাদার নিহতের পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়েছেন। ওই মামলার বাদী নিহতের ভাই পারভেজ হাওলাদার ন্যায় বিচার পেতে সিআইডি প্রধানের বরাবর আবেদন করেছেন। ২০২৩ সালে চরকমিশনার এলাকার দিনমজুর শাহীন হাওলাদরকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে তাকে মারধর করে হাত এবং পা ভেঙ্গে দেয়। হাত পা ভেঙ্গে খ্যান্ত হয়নি। এমনকি তাকে কোন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দেয়নি। উক্ত ঘটনায় যেনো কোন আইনি পদক্ষে না নেয় তার জন্য নানা ভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন আব্বাস হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মানে ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন বিশ্বাসের সমালোচনা করায় নাছিরকে মারধর করে ও হুমকি দেয়। এরপর তার দুটি মাহিন্দ্রা এবং ১টি অটো জোরপূর্বক নিয়ে যায় আব্বাস হাওলাদার। চরকমিশনার এলাকায় বাসিন্দা এমদাদুল হক সোহেল ১০ মে ২০২৪ তারিখ ঢাকা যাওয়ার সময়ে রাতের আধারে পথ রোধ করে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে ১টি চোখ নষ্ট করে দেয়। এই ঘটনায় ভূক্তভোগী মুলাদী থানায় মামলা করলেও কোন প্রতিকার পায়নি।
বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে মীরগঞ্জের সাধারন মানুষ আব্বাস হাওলাদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ ছিলো। ৫ আগষ্টে আওয়ামীলীগের পতন হলেও থেমে নেই আব্বাস হাওলাদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। গত ২৫ মার্চ মুলাদী পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শাওন হাওলাদেরকে পরিবারসহ নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময়ে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে আব্বাস হাওলাদার তার উপরে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় মামলা হলেও প্রশাসন আব্বাস হাওলাদারের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। গত ২৭ জুন চরকমিশনারের বিশিষ্ট শিল্পপতি শিহাব পেশকার বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে আব্বাস হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পথরোধ করে হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় মুলাদী থানায় মামলা চলমান। গত ২৪ জুলাই চরকমিশনারের বাসিন্দা আঃ রহমানকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মারধর করে আব্বাস হাওলাদার তার কাছ থেকে ১৫,৩০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভূক্তভোগী মুলাদী থানায় অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি।
গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগের পতন হলেও পতন হয়নি আব্বাস হাওলাদারের। চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতার পূর্বত বিচারের আওতায় আনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানায় ভুক্তভোগীরা
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আব্বাস হাওলাদারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।