গুঠিয়ায় প্রবাসীর বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ব্যাংকের এফডিআর, জমির দলিল লুটপাট

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের উজিরপুর থানার গুঠিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে প্রবাসীর বিল্ডিং এর জানালার গ্রীল খুলে বসত ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার আসবাবপত্র, ব্যাংকের এফডিআর, জমির দলিল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় লুটকারীরা ঘরে থাকা লেপতোষক, থালাবাসন, লবনের বাটি এমনকি বাথরুমের দরজাটাও খুলে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
বাড়ি লুটের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ হুমায়ুন খান (৫০) কমলাপুর গ্রামের মৃত.বেলায়েত আলী খানের ছেলে। সে দ্বীর্ঘ পনের বছর ধরে মালয়েশিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
প্রবাসী মোঃহুমায়ুন খানের স্ত্রী কলি (৪৫) জানান তার স্বামী পরিবার পরিজনকে সুখে রাখতে তার উপার্জিত টাকা দিয়ে তিন বছর পূর্বে গ্রামের বাড়িতে একটি একতলা বিল্ডিং তৈরী করেন।বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের রেখে ফের প্রবাসে চলে যান।
এর কিছু দিন পরই জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাদের বাড়ির নান্না ও মামুন গংরা তার একমাত্র স্কুল পড়ুয়া কন্যা ইলমিকে মারধর করে ।এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা ও দায়ের করেছিলেন প্রবাসীর স্ত্রী কলি ।এই মামলা আদালতে চলমান আছে। এঘটনার বেশ কদিন পূর্বে একই লোকজন তার একটি কাঠের ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাই জীবন রক্ষার্থে বসতঘর তালা মেরে ছোট্ট দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে ২ বছর ধরে বরিশাল নগরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। তবে মাঝে মধ্যে গিয়ে তিনি বাড়ির খোঁজ-খবর নিতেন।
কলি জানান গত ২৮ জুলাই স্থানীয় লোকদের কাছে ঘর লুট হয়েছে এমন খবর তিনি শুনতে পান।পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মনিরকে সাথে নিয়ে তিনি কমলাপুর গ্রামের বাড়িতে যান। ভবনের দরজা খুলেই তিনি দেখতে পান ঘরের স্টিল আলমারী খোলা, স্টিলের ট্রাঙ্ক ফাঁকা। স্বর্ণালংকার আসবাবপত্র, ব্যাংকের এফডিআর, জমির দলিল লুট ও করা হয়েছে। এসময় লুটকারীরা ঘরে থাকা লেপতাষক, থালাবাসন, লবনের বাটি এমনকি বাথরুমের দরজাটাও খুলে নিয়ে গেছে।ঘরে রাখা লক্ষাধিক টাকার বিল্ডিং নির্মান সামগ্রীও নেই। কলি জানিয়েছেন এ বিষয় তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উজিরপুর থানার ওসিকে অবগত করেছেন।
এ বিষয়ে কমলাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ মনির বলেন, প্রবাসী স্ত্রী হুমায়ুনের স্ত্রী আমাকে সাথে নিয়ে তার বসত ঘরে যান। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখি লুটের এক ভয়াবহ চিত্র। আলমারিগুলো খোলা, ঘরের আসবাবপত্র, বিছানার লেপ, তোষক,ফ্যান, বাথরুমের দরজা এমনকি লবণের বাটিটিও লুট করা হয়েছে । ফ্যান গুলোও খুলে নিয়ে গিয়েছে। বাড়ির ভিতরে প্রায় ১৩ টি ঘর থাকলেও কেউ কি আলাপ পাইনি ? এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। বাহির থেকে কোন লোক এসে এরকম কাজ আমাদের গ্রামে করতে পারে না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এদের চিহ্নিত করা দরকার।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী কলি বিষয়টি আমাকে মুঠোফোনে অবগত করেছেন। আমি তাকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নেয়া হবে।