ভোলায় কুড়িয়ে পাওয়া কন্যাশিশুর দায়িত্ব নেবে কে ?

আগস্ট ২৮ ২০২৫, ১৯:৫১

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একদিন বয়সী এক কন্যাশিশুকে রাস্তায় ফেলে গেছেন অভিভাবকরা। শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য কয়েকজন দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মাদার্স স্ক্যানু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২টা পর্যন্ত সেখানকার ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লা পুকুরপাড় এলাকা সংলগ্ন তালিমুল কুরআন মডেল মাদরাসার সামনে থেকে শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে শিশুটির চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বিষয়টি জানাননি হলে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী মো. সবুজ শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করলে পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার দায়িত্বে শিশুটিকে ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ বিষয়ে শিশুটির দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী মো. সবুজ বলেন, আমাদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে আমি আগ্রহী। গতকাল রাতে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে এনেছি। আজ দুপুর নাগাদ শিশুটি সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাই বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।

তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি। গতরাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমাদের জানানো হয় শিশুটিকে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য এনেছেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় তার শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতা রয়েছে। শিশুটির প্রাণ রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক স্থানীয় মো. সবুজ নামে এক ব্যক্তি দায়িত্ব নিয়ে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমি বিষয়টি ইউএনও, সমাজসেবা ও জেলা প্রবেশন কর্মকর্তাকে জানাই। শিশুটির বিষয়ে শিশু কল্যাণ বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তাকে দত্তক দেওয়া বা কারও জিম্মায় দেওয়ার দায়িত্ব শিশু কল্যাণ বোর্ডের।

এ বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি শুভ দেবনাথ বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তাকে আহ্বাবায়ক করে একটি উপ-কমিটি করেছি। যে দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহী তাদের বিষয়ে কমিটি খোঁজখবর নিচ্ছে। কমিটি যদি মনে করে আবেদনকারী ব্যক্তি দত্তক বা জিম্মায় নেওয়ার উপযুক্ত তাহলে ওই আবেদনকারীর জিম্মায় আমরা শিশুটি দেব। যদি উপযুক্ত ব্যক্তি না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আইনগত ভাবে সেফহোমে রাখব।