বেতাগীতে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি

বেতাগী প্রতিনিধি : বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার টাউনব্রিজের পূর্বপাড়, বিশেষ করে সরকারি ডাকবাংলা ও বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাউনব্রিজের পূর্বপাড়ের সড়কটির এক পাশে সরকারি ডাকবাংলা এবং অপর পাশে রয়েছে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এই সড়কটি বেতাগী পৌর শহরে প্রবেশের প্রধান পথ হলেও, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কজুড়ে পানি জমে যায়।
পরিকল্পিত নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবই এই সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার বা উন্নয়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি পৌরসভা প্রশাসন। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। এতে করে বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন।
অনেক সময় কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। বেতাগী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামাল হোসেন খান বলেন, ‘টাউনব্রিজের পূর্বপাড় এলাকায় উপজেলা প্রশাসনিক ভবন, ডাকবাংলা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থাকলেও এ এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
ডাকবাংলা সংলগ্ন চায়ের দোকানদার শহীদ আলম বলেন, ‘ডাকবাংলার বাজারসংলগ্ন সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত পানি জমে থাকায় ব্যবসার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। অনেক ক্রেতা আসতে অনীহা প্রকাশ করছেন, এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি।’
একইসঙ্গে রিকশাচালক কবির হোসেন, বিমল পরামানিক ও মোশারেফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বারবার পৌরসভার কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বর্ষার মৌসুমে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ক মন্ডল, ধ্রুব ও দেবজিৎ জানায়, জলাবদ্ধতার কারণে পুরো সড়ক রিকশা ও অটোরিকশার দখলে চলে যায়, এতে তারা হেঁটে স্কুলে যেতেও হিমশিম খান।
এ বিষয়ে বেতাগী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন জানান, ‘ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যেই একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে।’