শিক্ষককে হেনস্তা করায় বাস আটকে ক্যাম্পাসে নিয়ে এলো পবিপ্রবি’র ছাত্ররা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : বেপরোয়া ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস চালাতে নিষেধ করায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষককে লাঞ্চিত এবং হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিক পরিবহনের চালক ও হেল্পারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে এই ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ইউনিক পরিবহনের আরেকটি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্স বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, যাত্রার শুরু থেকেই জসিম নামে ওই চালক বেপরোয়া ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যাত্রীদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জের বড়ইতলা এলাকায় পবিপ্রবির অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আপত্তি জানালে ক্ষিপ্ত চালক তার ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাগলা মোড় ইউনিভার্সিটি স্কয়ার থেকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের আরেকটি বাস আটকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, চালক-হেল্পার এবং মালিকপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে দায়ীদের শাস্তির নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত তারা বাস ছাড়বেন না। ভুক্তভোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, “চালককে ধীরে চালাতে বলায় সে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে যাত্রীদের হস্তক্ষেপে আমি ভাঙ্গায় নেমে যাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইমাদুল হক বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত চালক জসিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন মালিক কতৃপক্ষ ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। তাদের একটি প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে আসবেন। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”