তজুমদ্দিনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই

ফেব্রুয়ারি ২৬ ২০২৫, ১৮:৫৯

এম. জিহাদ, তজুমদ্দিন ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে রাতে আধারে মাদ্রাসার গেট ভেঙে দূধর্ষ চুরির পরে আগুন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব গোলকপুর কাছিমুল আলিম মাদ্রাসায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কেচিগেট ভেঙ্গে মাদ্রাসার ভিতরে ডুকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা। এ সময় অজ্ঞাতনামা চোরের লাইব্রেরীর টাকা ভেঙ্গে ড্রয়ারে থাকা কোচিংয়ের ২০/২৫ হাজার নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং আলমারীতে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের কাগজ, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কসীট ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ডসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাইব্রেরীর ফ্লোরে ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দূবৃত্তরা।

ফজরের নামায পড়তে উঠে নৈশপ্রহরী আগুন দেখে অনেক চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হন। ততক্ষনে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিহিংসা থেকে দুর্বৃত্তরা এ আগুন লাগিয়েছে।

জানতে চাইলে মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমি রাতে মাদ্রাসার ভবনের নিচে একটি রুমে ঘুমাইয়া ছিলাম। সকালে ফজরের নামায পড়তে উঠে সামনের কেচিগেট খোলা দেখে উপরে উঠে দেখি লাইব্রেরীর তালা খোলা ভিতরে আগুন জ্বলছে। পরে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভাই। ততক্ষনে মাদ্রাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়।

মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাও. মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, আমরা শিক্ষা সফরে চট্টগ্রামে রয়েছি। মাদ্রাসায় চুরির বিষয়টি শুনে বান্দরবনে না গিয়ে তজুমদ্দিনের দিকে ফিরে আসতেছি। মাদ্রাসায় কোচিংয়ের টাকা সহ নগদ ৪০/৫০ হাজার টাকা রাখা ছিলো সেই টাকাগুলি নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা এবং আগুন দিয়ে মাদ্রাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে দেয়।

তজুমদ্দিন থানার এস আই মাসুম বলেন, ঘটনার শুনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে (অ.দা.) ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।