বিএনপির ৩ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

মে ১০ ২০২৫, ১৯:২০

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল নগরীতে জমি দখল করতে গিয়ে জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়কসহ কয়েকজন নেতা। আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে তারা জমি দখল করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এক পর্যায়ে জনতার ধাওয়ায় তারা দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালান। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহানগর কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জমি মলিকের ছেলে মেহেদি হাসান বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন খান, মাহফুজুর রহমান খান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের (পদ স্থগিত) আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু। অভিযোগে জমি নিয়ে মামলার অপর পক্ষ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুনকে ১ নম্বর অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, মহানগর কলেজসংলগ্ন হরিপশার বিলে ১ একর ৪৮ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে খান মামুনের পরিবারের সঙ্গে ওই জমি সংলগ্ন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডেফুলিয়ার বাসিন্দা শওকত হোসেনের দীর্ঘ বছর ধরে মামলা-মোকাদ্দমা চলছে।

খান মামুনের কাছ থেকে বায়না সূত্রে মশিউর রহমান মঞ্জু মালিক দাবি করে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের প্রধান আস্থাভাজন খান মামুন ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন। শওকত জানান, খান মামুনের বাবা মরহুম এনামুল হকের সঙ্গে জমি নিয়ে মামলা শুরু হয়। আদালত তার পক্ষে রায় দিলেও খান মামুন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলে রাখেন।

৫ আগস্টের পর তারা জমি দখলমুক্ত করেছেন। গত কয়েকদিন যাবত মঞ্জুর নেতৃত্বে ওই জমি দখলের নানা পাঁয়তারা চলছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অর্ধশতাধিক লোক জড়ো করে বিএনপি নেতারা বালু ফেলা শুরু করে। তখন আশপাশের লোক সংগঠিত হয়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আশিক হাওলাদার বলেন, শওকতের ছেলেও ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত।

মামলার জমি দখল নিয়ে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার রাতে মহানগর বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মাহফুজ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মঞ্জুর নেতৃত্বে বালু ফেলা শুরু করে। এ সময় কয়েকশত লোক জড়ো হয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এদিকে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন দাবি করেন তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তবে তিনি শুনেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ওই জায়গায় বালু ফেলেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে আরেক অভিযুক্ত মাহফুজ বলেন, ওই জমি স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদের বলে তিনি শুনেছেন। তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে। মশিউর রহমান মঞ্জু এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।