বাউফলে আগুনে পুড়ল ৮ বসতঘর, অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি

জানুয়ারি ৩০ ২০২৫, ২০:০১

বাউফল প্রতিনিধি !! পটুয়াখালীর বাউফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং ২টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বগা ফেরিঘাট সংলগ্ন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, তাহার কাজী, সবুজ কা‌জী, রেজাউল কা‌জী, দুলাল কাজী, সো‌হেল কা‌জী , জ‌সিম খানের ,র‌ফিক খান ও ফজলুল খান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে স্থানীয় আতহার কাজীর বসতঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খুব দ্রুত সময়ে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পরে। ঘরের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছয়টি বসতঘর। এছাড়াও দুটি বসতঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরে কোনো আসবাবপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বাউফল ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের মুঠোফোন নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও দীর্ঘ সময় কেউ মুঠোফোনের কল রিসিভ করেনি। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পরে মুঠোফোনে জানানো সম্ভব হয়। কিন্তু জানানো পরেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ১ ঘণ্টা বিলম্ব করে ফায়ার সার্ভিস।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করে বাউফল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. সাব্বির আহম্মেদ বলেন, একটি বসতঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ৯টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানতে পেরেছি। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই। নদীতীরবর্তী এলাকায় হওয়ায় পানি সাপ্লাই ভালো ছিল, তাই দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রথমে জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়েছিলো। তাদের সংযোগ পেতে হয়তো বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যেতে আমরা একটুও বেশি সময় নেইনি। কিন্তু আমাদের গাড়ি নিয়ে স্পটে যাওয়ার মত রাস্তা ছিল না। ফেরিতে করে নদীপথে স্পটে পৌঁছাতে হয়েছে।