স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের কোনঠাসা নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নাম লিখিয়েছেন।

সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বিএনপিকে কলঙ্কিত করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তিনি এবার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। সেই অনুযায়ী নির্বাচনী মাঠ গোছাতে অঢেল টাকা পয়সা খরচ করছেন তিনি।

জানা গেছে, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে স্বৈরাচারী হাসিনার মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেয়া চাঁদপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নানকে শেল্টার দিচ্ছেন আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।

নিজের পাশে বসিয়ে কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের কোনঠাসা নেতাদের অর্থায়নে ইফতার মাহফিল কর্মসূচী পালন করে দল ভারী করছেন বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া দলের বিতর্কিত সমর্থকহীন পাতি নেতাদের সাথে এক মঞ্চে প্রোগ্রাম পরিচালনা করছেন তিনি।

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হলেও বছরের বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন এই নেতা। অদৃশ্য ক্ষমতাবলে হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করে দলের ভিতর ফাটল সৃষ্টি করে তৃণমূলকর্মীদের বিভ্রান্ত করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাছিল করছেন তিনি। গত (৮ মার্চ) শনিবার ৭ রামাদান বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নে আয়োজিত ইফতার মাহফিলেও মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে একত্রে বসে ইফতার করতে দেখা গেছে চাঁদপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে।

যা স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে টক অব দ্যা টাউনে রূপান্তরিত হয়েছে। জানা গেছে, জুলাই আগস্টে আহত এবং নিহত নিরীহ শত শত ছাত্র জনতার রক্তের দাগ মুছে যাওয়ার আগেই দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে টাকার পাহাড় গড়ে সেগুলি নিরাপদ রাখতে বর্তমানে সুবিধাবাদী বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহর দলে ভীড়েছেন আব্দুল মান্নান।

বিষয়টি জানতে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আব্দুল মান্নান আওয়ামীলীগের কেউ না। তাদের সাথে আমাদের পরিবারিক সম্পর্ক। তাছাড়া তিনি একজন মাওলানা। ইফতার মাহফিলে তিনি দোয়া মোনাজাতের জন্য এসেছিলেন। আর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের শেল্টার না দেয়ার জন্য দলীয় ভাবে আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। এর বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’