খাস কালেকশনের দায়িত্বে আওয়ামীলীগ নেতারা

মে ০৭ ২০২৫, ১৯:৩০

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবেরহাট বাজার চলতি বছরে একাধিক বার ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করলেও কোন দরদাতা অংশগ্রহণ করেন নাই। হাটের ইজারা মূল্য ছিল ২১ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার মতো, সেই হাট চলতি বছরেও ইজারা হয়নি।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার খাস কালেকশন করার কথা থাকলেও হাটে ‘খাস’ কালেকশন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন এই খাস কালেকশনের সময় ভূমি অফিসের কেউ থাকেন না। আর কত টাকা জমা হয় তাও কেউ জানতে পারে না।

এ চিত্র বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউপির সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী সাহেবেরহাট বাজারের। কোনো হাট ইজারা না হলে সরকারিভাবে ‘খাস’ কালেকশন করার জন্য খাস আদায় কমিটি করা হয়। সেই কমিটির মাধ্যমে খাস কালেকশন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দিয়ে খাস কালেকশন করিয়ে থাকেন।

কিন্তু সাহেবেরহাট বাজারের খাস কালেকশন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা শ্যামল নাথ, জাহাঙ্গীর খান ও উজ্জ্বলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও ৭/৮ জন নেতা। আওয়ামী লীগের নেতাদের খাস কালেকশনের বিষয়ে বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বক্তব্য নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইজারার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন খাস কালেকশন হলে তাদের কাছ থেকে কেন অতিরিক্ত ইজারা আদায় করা হবে। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আয়ের ক্ষুদ্র অংশ রাজস্ব হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বড় অংশই চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পেটে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে জানিয়ে বাজারের খাস কালেকশন করা হচ্ছে। আমাদের লোকজন কম থাকায় স্থানীয় লোকজন দিয়ে কালেকশন হয়। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কোন নেতা আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি কেউ থাকে তাদের বাদ দেয়া হবে।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হাসান বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা সাহেবেরহাট বাজারের খাস কারেকশন করেন কিনা সেটা জানি না। খাস কালেকশনের দায়িত্বে আছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা। ভূমি কর্মকর্তা তার সহযোগি হিসাবে অন্য কাউকে নিতে পারেন।