অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের সময়

তিন ছাত্রদলকর্মী আটক, ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

মে ০৮ ২০২৫, ২০:২৫

স্টাফ রিপোর্টার : নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদককে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের সময় মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রনির অনুসারী তিন জনকে আটক করেছে নগর ডিবি পুলিশ।

আজ বৃহাস্পতিবার (৮ মে) সকালে নগরীর হাটখোলা কাঠের দোকান থেকে তিন জনকে আটক করা হয়।গ্রেফাতারকৃতরা হলেন, নগরীর সাগর গলির জাকির হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম প্রিন্স (৩২), আরিফুর রহমানের ছেলে সৈয়দ সাইফুল ইসলাম সুজন (৪০), আরেক জন হলেন দপ্তর খানা রোডের বাসিন্দা নয়ন তালুকদারের ছেলে সোলায়মান সুজন(৪০)। এরা সবাই বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেজাউল করীম রনির ঘনিষ্ঠ অনুসারী।

তবে একাধিক মামলা থাকা সত্বেও রহস্যজনক কারণে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আটককৃত ছাত্রদলকর্মীদের কোতয়ালী মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে ওই তিন ছাত্রদলকর্মীসহ তাদের আরও ৭/৮ জন সহযোগিরা আটক করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে।

তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ছয় লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে নগরীর চকবাজার সংলগ্ন হাটখোলা এলাকার একটি কাঠের দোকানে আটকে রেখে তার (শাকিল) ভাইকে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলের ভাই বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে জানালে মেট্রোপলিটন ডিবি ইন্সপেক্টর ছগির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত তিন ছাত্রদলকর্মীকে আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রহস্যজনক কারণে উদ্ধার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাকিলের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির দায়ের করা ওইসব মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তবে ছাত্রলীগ নেতার ঘনিষ্টজন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শাকিল তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অধিকাংশ মামলায় জামিনে রয়েছেন।

বিষয়টি জানতে মেট্রোপলিটন ডিবি ইন্সপেক্টর ছগির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর ছাত্রদলকর্মীরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা তা জানতে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।