নদী রক্ষায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সমন্বয়ের প্রস্তাব

জানুয়ারি ২৮ ২০২৫, ১৯:১৯

স্টাফ রিপোর্টার !! পানি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, পাঠ্যসূচিতে পানি এবং নদী বিষয়ে শিখন-পঠনে সবাইকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে ১০ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে। একই সঙ্গে দেশের নদী ও নদীভিত্তিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগুলো নিয়ে কাজ করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে এসব প্রস্তাবনার কথা জানানো হয়।

সম্মেলনের প্রাপ্তি নিয়ে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, দুই দিনের আলোচনায় আমরা পানি এবং নদী বিষয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা এবং প্রস্তাবনা পেয়েছি। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করবো এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তা তুলে ধরবো। এবারের সম্মেলনে আমরা হাইড্রো ডিপ্লোম্যাসি এবং সমুদ্রের ভবিষ্যৎকে প্রাধান্য দিয়েছি। এ নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে, আমরা সেগুলো আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ নিয়ে আলোচনায় তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবো।

সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরে বাংলাদেশ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা।

পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ বলেন, নদী এবং পানি রক্ষায় তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা, পড়াশোনা এবং গবেষণায় জোর দিয়ে সরকার কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এরই মধ্যে জাতিসংঘের এসডিজিতে রয়েছে, যেখানে পানি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরাও তা সংযুক্ত করবো। প্রয়োজনে পাঠ্যসূচিতেও তা যুক্ত করতে আমরা কাজ করবো।

সোমবার সমাপনী পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক জয়ন্ত বসু। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমবণ্টন নীতি হওয়া উচিৎ। প্রমাণভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করতে পারে।

আলোচনায় প্রয়োজনে ভারতের পাশাপাশি চীন এবং নেপালকেও সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের আন্তর্জাতিক নদীগুলোর নাব্য এবং প্রবাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনে নদীর উৎস দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে যেতে পারে।