স্কুলের সভাপতির তালিকায় নাম না থাকায় বোর্ড চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত

ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২৫, ১৯:৪১

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে লাঞ্ছিত করেছেন বিএনপির একদল নেতাকর্মী। তারা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

সোমবার রাত সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিক্ষা বোর্ডে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যানকে প্রায় একঘন্টা তার কক্ষে অবরূদ্ধ করে রাখা হয়। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন।

জানা গেছে, সাগরদী এলাকায় এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ৩ জনের নামের তালিকা চুড়ান্ত করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছেন। তালিকায় ১ নম্বরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ছালাম মিয়ার স্ত্রীর নাম রয়েছে।

সাধারণত সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে ১ নম্বরে থাকা ব্যক্তি অগ্রাধিকার পান। এতে ক্ষুদ্ধ জিয়ার অনুসারী অর্ধশত যুবক সোমবার সন্ধ্যায় বোর্ড চেয়ারম্যানে দপ্তরে যান। তারা চেয়ারম্যানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্চিত করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তার কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন।

বোর্ডের সহকারি সচিব এবং কর্মচারী সংঘের সভাপতি মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ওয়াহেদ বিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত কমিটির ১ নাম্বারে যার নাম রাখা হয়েছে তিনি ফ্যাসিস্ট। এজন্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গিয়ে বলেছেন যে ফ্যাসিস্ট কাউকে রাখা যাবে না। জিয়া ভাইকে রাখতে হবে।

বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতা জিয়াকে। ১ নাম্বারে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালামের স্ত্রীর। তিনি বলেন, একদল কর্মী এসে জানতে চেয়েছে কেন জিয়া ভাইর নাম ২ নাম্বারে গেলো।

অভিযোগের বিষয়ে নগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের কাছে জানতে চাইরে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, ‘বোর্ড চেয়ারম্যান লাঞ্জিত হওয়ার অভিযোগ করছেন কিনা?। ঢাকায় আছেন জানিয়ে জিয়া বলেন, যারা গিয়েছেন তাদের তিনি চেনেন না। কেউ তার নাম ব্যবহার করলে কিছু করার নেই।