খুনি হাসিনা বিতর্কিত সিলেবাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ধর্মহীন করার চক্রান্ত করেছিল: চরমোনাই পীর

নভেম্বর ২৪ ২০২৪, ০১:১১

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বরিশাল হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহা সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমির, হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ও উনি শেখ হাসিনা সরকার বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নের নামে এদেশের মানুষকে ধর্মহীন শিক্ষায় শিক্ষিত করে নাস্তিক বানাতে চেয়েছিল, তারা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষা বইয়ে শরিফ শরীফের গল্প এনে ট্রান্সজেন্ডার কে প্রমোট করতে চেয়েছিল, মাধ্যমিক পর্যায় পুস্তক থেকে চার খলিফার জীবনী উঠিয়ে দিয়েছিল, এদেশের লক্ষ লক্ষ ধর্ম প্রান জনতার প্রতিবাদে পিছু হটে ছিল, তাদের নীল নকশা অনুযায়ী বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে পারেনি, বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের কাছে বিগত সরকারের ২০১২ শিক্ষা সিলেবাস বাতিলের দাবি জানান।

কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি আওলাদে রাসুল সাইয়েদ হাসান আশজাদ মাদানি (ভারত)

প্রধান মেহমান মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম তার আলোচনায় আরো বলেন, আজকের মহাসম্মেলনের পক্ষ থেকে যেই সাতটি দাবি পেশ করা হয়েছে তা সময়ের প্রয়োজনে যুক্তিযুক্ত দাবি এবং এ দাবি বর্তমান সরকারকে বাস্তবায়ন করতেই হবে।

মহাসমাবেশের পক্ষ থেকে যে সকল দাবি পেশ করা হয়:
১. কওমি ছাত্রদের এদেশের উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ,মিশর, ও সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ ও পিএইসডি করার সুযোগ নিশ্চিত করা,পাকিস্তানি দ্বীপাক্ষিক শিক্ষা চুক্তি এবং কুটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া, সেই সাথে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক বিভাগে অনার্স করার সুযোগ দেওয়া এবং ইসলামী স্ট্যাডিস ও আরবি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমবিএ ও পিএইসডি করার সুযোগ নিশ্চিত করা।

২. ক‌ওমি ছাত্রদের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুপাতে নিয়োগের সুযোগ প্রসারিত করা এবং চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কওমি সনদকে সুস্পষ্ট উল্লেখ করে ক‌ওমি সনদের মর্যাদা প্রদান করা।

৩. বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার আধ্যাত্মিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত প্রাণের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।

৪. কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
৫. আহলে হাদিস, আহলে কোরআন , হিজবুত তাওহীদসহ সকল বাতিল গোষ্ঠীর অপতৎপরতা বন্ধ করার ঘোষণা প্রদান করা।

৬. স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে শিক্ষাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করা ।
৭. ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পারিবারিক সামাজিক অশান্তি সামাজিক অবক্ষয় রোধে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ গঠনে আলেম ওলামা ও ইমাম সাহেবদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা।

আজকের সম্মেলনে আরো নসিহত পেশ করেন, বেফাক শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েত আল হাবিব, যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা মুফতি হারুন এজাহার। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিম আবরার চরমোনাই মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল আলম সিদ্দিকী প্রমূখ।